গত ২ মার্চ বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হুমকি দিয়ে বক্তব্যের বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু।
রবিবার (৭ মার্চ) নগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক নাজমুল হক ডিকেনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মিজানুর রহমান মিনু বলেন, ‘ভোট জালিয়াতির প্রতিবাদ, নতুন নির্বাচন কমিশন, তত্ববধায়ক সরকার পুনর্গঠনের দাবি, বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশে আসতে বাঁধা এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যেরর লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসাবে রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে আমার বক্তব্যের জন্য যারা ব্যথিত হয়েছেন, মর্মাহত হয়েছেন, আমি তাদের নিকট দুঃখ প্রকাশ করছি।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘গত ২ মার্চ সমাবেশ নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন যেভাবে জনসাধারণকে সমাবেশে আসতে বাধা প্রদান করেছে তা নজিরবিহীন। সকল যানবহনসহ এমনকি খাবার দোকান বন্ধ ছিল যা ইতিপূর্বে রাজশাহীতে ঘটেনি এবং নেতাকর্মীদের নানাভাবে হয়রানি করা হয়েছে। আমি এই মহানগরীতে জন্মগ্রহণ করে দীর্ঘদিন রাজশাহীবাসীকে নিয়ে রাজনৈতিক নিষ্ঠার সাথে দ্বায়িত্ব পালন করে আসছি। স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনসহ সকল আন্দোলনে সাথে পাশে পেয়েছি সুতরাং কোনও ব্যক্তি বিশেষ বা গোষ্ঠী বিশেষকে উদ্দেশ্য করে আক্রোশমূলক বক্তব্য প্রদান করা আমার স্বভাব বহির্ভূত। তাই সকলকে আমার বক্ত্যব্যে ষড়যন্ত্র না খোঁজার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে মিজানুর রহমান মিনু প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই না হাসিনা। রেডি হও। হাসিনা আজ সন্ধ্যার সময়, কালকে সকাল তোমার নাও হতে পারে। মনে নাই পঁচাত্তর সাল? পঁচাত্তর সাল মনে নাই?”
তার এই উস্কানিমূলক বক্তব্যের পর আওয়ামী লীগ বিক্ষোভ মিছিল করে বক্তব্য প্রত্যাহারের জন্য ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয়।