টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষটিতে কিউই ওপেনার মার্টিন গাপটিলের ঝড়ো ইনিংসে উড়ে গেল অস্ট্রেলিয়া।
গাপটিলের ৪৬ বলে ৭১ রানের ইনিংসে ভর করে ম্যাচটি ৭ উইকেটে জিতে নেয় নিউজিল্যান্ড। ফলে ঘরের মাঠে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নেয় স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড।
২-২ সমতায় শনিবার ওয়েলিংটনে মাঠে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়া। জম্পেশ লড়াইয়ের হাতছানিতে করোনাকালেও দর্শক জমেছিল গ্যালারিতে।
কিন্তু হাড্ডাহাড্ডি লড়াইতো হয়ইনি। একপেশে খেলে টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিজেদের করে নিল কেন উইলিয়ামসনের দল।
স্কাই স্টেডিয়ামের ড্রপ ইন উইকেটে এটি ছিল টানা তৃতীয় ম্যাচ। শুষ্ক উইকেট বেশ মন্থর হবে বলে ধারণা করা হলেও ম্যাচ শুরুর পর দেখা যায়, ব্যাটিংয়ের জন্য উইকেট যথেষ্ট ভালো।
কিন্তু কিউই বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে পিচ থেকে সেই সুবিধা আদায় করে নিতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানরা।
নতুন বলে বাঁহাতি স্পিনার মিচেল স্যান্টনার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে উড়ন্ত সূচনা হয়নি অসিদের। তবে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। তৃতীয় ওভারে জশ ফিলিপিকে সাজঘরে ফেরান বোল্ট।
দ্বিতীয় জুটিতে অবশ্য অস্ট্রেলিয়াকে বেশ ভালো ভিত গড়ে দেন অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ও ম্যাথু ওয়েড। ৬৬ রানের জুটি গড়েন তারা।
লেগ স্পিনার ইশ সোধির ঘূর্ণিতে ৩২ বলে ৩৬ করে আউট হন ফিঞ্চ। ২৯ বলে ৪৪ রান করা ওয়েডকে ফেরান বোল্ট।
তুরুপের তাসে পরিণত হন অনিয়মিত স্পিনার মার্ক চাপম্যান। হার্ডহিটার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে মাত্র ১ রানে থামিয়ে দেন তিনি।
শেষ ৭ ওভারে অস্ট্রেলিয়া মাত্র ৪৩ রান তুললে লক্ষ্য গিয়ে দাঁড়ায় ১৪৩ রানে। ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টিতে এই লক্ষ্য মামুলিই মনে হয়েছে কিইউদের।
মার্টিন গাপটিল ও ডেভন কনওয়ে মিলেই ম্যাচ একরকম শেষ করে দেন। ১১.৫ ওভারেই ১০৬ রানের জুটি গড়েন তারা।
বাঁহাতি কনওয়েকে ৩৬ রান ও উইলিয়ামসনকে শূন্য রানে ফেরান অসি পেসার রাইলি মেরেডিথ। কিন্তু তাতে হাততালি ছাড়া আর কিছুই মেলেনি।
এদিকে ক্রিজে নেমে ৩৩ বলে ৫০ ছুঁয়ে ফেলেন গাপটিল। গাপটিলের ঝড়ো ইনিংস থামিয়ে দেন পেসার ঝিয়ে রিচার্ডসন। ৭১ করে গাপটিল যখন সাজঘরে ফিরছিলেন, তখন কিউইদের জয় ছিল সময়ের ব্যাপার।
গাপটিলের আউটের পর অসি স্পিনার অ্যাডাম জ্যাম্পাকে দুটি ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করে দেন গ্লেন ফিলিপস। অপরাজিত থাকেন ১৬ বলে ৩৪ রানে।
ম্যাচসেরা হয়েছেন গাপটিল।