হাসাহাসি ও টিকা নিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের গাফেলতির কারণে করোনার তৃতীয় তরঙ্গ সংক্রমণের হুঁশিয়ারি জারি করেছে দেশটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
পাকিস্তান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সচিব ডাঃ কায়সার সাজ্জাদ বলছেন, ‘আমরা এমন একটি সমাজে বাস করছি যেখানে মানুষ বিধিনিষেধ অনুসরণ করে না। এমনকি তারা মাস্ক পরা নিয়ে হাসাহাসি করে।’ পাকিস্তানের টিকা দেওয়ার বিষয়টির ধীরগতির জন্য সরকারকে দোষারোপ করেছেন ডঃ সাজ্জাদ।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে শতকরা ৭০ ভাগ মানুষের টিকা দেওয়ার পর বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা উচিত। চিকিৎসকদের তুলনায় অভিনেতারা টিকাদান প্রচার কর্মসূচির সাথে জড়িত।পিএসএল ম্যাচ এর মাঝামাঝি যেসব বিজ্ঞাপন হয় তাতে আমরা টিকার কোন বিজ্ঞাপন পাই না। দুর্ভাগ্যক্রমে সরকার জনস্বাস্থ্যের চেয়ে দেশের অর্থনীতির উপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। করোনা সংক্রমণ যখন ওঠানামা করছে এই মুহূর্তে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা কোন ভালো সিদ্ধান্ত না।’
পাকিস্তানে বিধিনিষেধ শিথিল ও টিকা নিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের তেমন আগ্রহ দেখা যায়নি। ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে পাকিস্তানের ন্যাশনাল কমান্ড অ্যান্ড অপারেশন সেন্টার বাণিজ্যিক কার্যক্রম, স্কুল, অফিস এবং অন্যান্য কর্মস্থলগুলোর উপর থেকে বিধিনিষেধ তুলে নেয়। কর্মস্থলগুলোতে নিয়ম কড়াকড়ি করা হয়।
সপ্তাহে পাঁচদিন স্কুল খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ১৫ মার্চ থেকে ঘরোয়া বিবাহ অনুষ্ঠান, সিনেমা ও মন্দির খোলার বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১০ মার্চ থেকে একসাথে বসে বৈঠক করার বিষয়ও শিথিল করা হয়েছে।