এর আগে, সোমবার রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো: নগরীর শুভপুর এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে মো. নাজিম ওরফে নাদিম (৩০) এবং চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুনবতী গ্রামের মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে মো. রিশাত।
পুলিশ জানায়, কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলসহ জোড়া খুনের ঘটনায় সিসিটিভি শনাক্তকৃত কিলিং স্কোয়াডের সদস্য মো. নাজিমকে নগরীর শুভপুর এলাকা থেকে এবং তদন্তপ্রাপ্ত কিলিং স্কোয়াডের সদস্য ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রের অন্যতম যোগানদাতা মো. রিশাতকে চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সোহান সরকার জানান, এন্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ) এবং কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) এর সহযোগিতায় জেলা ডিবি পুলিশের একটি টিম তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। দুপুরে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২২শে নভেম্বর বিকালে নগরীর পাথুরিয়াপাড়া এলাকায় কাউন্সিলরের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে অবস্থানকালে কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহাকে গুলি করে হত্যা করে মুখোশ পরিহিত সন্ত্রাসীরা। এঘটনায় নিহতের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে কুমিলস্না কোতয়ালী মডেল থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এরমধ্যে পুলিশ ও র্যাব এ পর্যন্ত এজাহারনামীয় ৭ জনসহ সিসিটিভি ফুটেজ এবং তদন্তপ্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী কিলিং স্কোয়াডে অংশ নেয়া আরও ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে। এছাড়া পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে প্রধান আসামি শাহ আলমসহ ৩ জন নিহত হন।