আল কায়েদা ও ইসলামিক স্টেট অধ্যুষিত এলাকা ডুয়েন্টজা ও সেভারের মধ্যবর্তী অঞ্চলে এই ঘটনা ঘটে। তবে এখনো পর্যন্ত কোন গোষ্ঠী এ দায় স্বীকার করেনি। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেস এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বলে জানান, মুখপাত্র স্টিফেন ডুরাজিক। অপরাধীদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবী জানান তিনি। এই দুর্ঘটনায় কোন বাংলাদেশি হতাততের খবর এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি।
২০১৩ সাল থেকে জাতিসংঘ মালিতে ইউনাইটেড নেশনস মাল্টিডাইমেনশনাল ইন্টিগ্রেটেড স্টেবিলাইজেশন মিশন (মিনসুমা) নামে শান্তিরক্ষা বাহিনী মোতায়েন করেছে।
গত ২২শে নভেম্বর এরকমই একটি বিস্ফোরণে আহত এক সেনা সোমবার মারা গেছেন।
২০১২ থেকেই মালি জেহাদি কার্যকলাপের কেন্দ্র হয়ে ওঠে। এরপর তা প্রতিবেশী বুরকিনা ফাসো ও নাইজারে ছড়ায়। এই সংঘাতের ফলে অন্তত ২০ লাখ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আল কায়দা ও আইএস সমর্থিত জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি এখানে বহুবার হামলা করেছে। শুধু সেনা নয়, সাধারণ মানুষও আক্রমণের শিকার হয়েছে।
মিনসুমার ১৬ হাজার ৫০০ জন কর্মী বর্তমানে মালিতে আছেন। তার মধ্যে ১০ হাজার ৭০০ হলেন শান্তিরক্ষা বাহিনীর সেনা। জাতিসংঘ জানিয়েছে, বিভিন্ন হামলায় মোট ১৫০ জন শান্তিরক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। জাতিসংঘের কোনো শান্তিরক্ষা বাহিনীতে এতজন আগে কোথাও মারা যাননি।