ভিন্নমত উসকে দেওয়া এবং কোভিড নিয়ম ভঙ্গ করার অভিযোগে অং সান সুচিকে দোষী সাব্যস্ত করে সোমবার দেশটির একটি আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়।
সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উস্কানির অভিযোগে এবং করোনার বিধিনিষেধ ভঙ্গের অভিযোগে তাকে এই দন্ডে দন্ডিত করা হয়। যদিও তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
সু চির বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও সরকারি গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগও রয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে ৭৬ বছর বয়সী এই নেতা বেসামরিক সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন।
এর আগে, গত ৩০ নভেম্বর রায় ঘোষণার কথা থাকলেও তা এক সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে আজ এই রায় ঘোষণা করা হয়। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের নিন্দা জানিয়েছে এবং আসামিদের মুক্তির দাবি জানিয়ে আসছে।
গত বছর অনুষ্ঠিত দেশটির জাতীয় নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে বলে উল্লেখ করে শান্তিতে নোবেল জয়ী সু চি কে গত ১লা ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। ওই ভোটে অং সান সুচির দল এনএলডি বিপুল ভোটে জয় লাভ করেছিল। এরপর জুন মাস থেকে তার বিচার চলছিল।
দুর্নীতি, রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা লঙ্ঘন এবং জনরোষে উসকানি দেওয়াসহ নানাবিধ অভিযোগে গৃহবন্দি রয়েছেন অং সান সুচি। এরপর থেকে তাকে তেমন একটা জনসমক্ষে দেখা যায়নি।