আজ শনিবার বেলা ১২টায় খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবে ছাত্রদলের সমাবেশে একথা বলেন তিনি।
এসময় মির্জা ফকরুল বলেন, খালেদা জিয়া জীবন মৃত্যুর মুখে পৌঁছেছেন। খালেদা জিয়াকে ভয় পায় সরকার। তাই সেই পথের কাঁটা সরানোর আয়োজনই ক্ষমতাসীনরা করছে। তিনি মারা গেলে সরকারের পথের কাঁটা দূর হবে? কিন্তু তা হবে না। কারণ খালেদা জিয়া তার উত্তরসূরী ঠিক করে রেখেছেন। তিনি তারেক রহমান।
বাংলাদেশে আর কোন নেতা আছে যিনি খালেদা জিয়ার মতো এতো ত্যাগ স্বীকার করেছে, প্রশ্ন রেখে তিনি আরও বলেন, তিনি উড়ে এসে জুড়ে বসেননি। দেশে গণতন্ত্রকে চালু রাখতে চাইলে খালেদা জিয়াকে ফিরিয়ে আনতে হবে। আন্দোলনের মধ্য দিয়েই তাকে চিকিৎসার দাবি আদায় করতে হবে। আর বিলম্ব না করে বেগম জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠাতেই হবে সরকারকে। নয়তো জনগণ আপনাদের ক্ষমা করবে না।
এর আগে, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ সমাবেশ শুরু হয়। ১০টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন।
বেলা বাড়ার সঙ্গে প্রেসক্লাব এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। এসময় নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এদিকে এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মৎস্য ভবন মোড়, হাইকোর্ট মোড়, সচিবালয় এলাকা, পুরানা পল্টন ও প্রেস ক্লাব এলাকায় বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
এদিকে, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে সিলেটে মিছিল করেছে ছাত্রদল। আজ দুপুরে নগরীর বিভিন্ন স্থানে খণ্ড-খণ্ড মিছিল করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। মিছিল শেষে কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ প্রাঙ্গণে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে দাবি মেনে নিতে সরকারের কাছে আহ্বান জানান। অন্যথায়, দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন নেতারা।