উল্লাপাড়া উপজেলার কয়রা ইউপিতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে নৌকার সমর্থকদের মারপিটের শিকার হওয়া সেই মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম নৌকার প্রার্থীকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তৃতীয় ধাপে রোববারের ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেন।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম মটরসাইকেল প্রতীকে ৮ হাজার ০৪৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের হেলাল উদ্দিন পেয়েছেন ৩ হাজার ৬৪১ ভোট। আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশারফ হোসেন তালুকদার আনারস প্রতীকে ১৪৫ ভোট পেয়েছেন।
এ ইউপিতে ১৫ হাজা ১০৬জন ভোটারের মধ্যে ১২ হাজার ১১৯ জন ভোটার ভোট প্রদান করেন। এরমধ্যে বৈধ ভোটের সংখ্যা ১১ হাজার ৮২৯টি, আর বাতিল হয়েছে ২৯০টি ভোট।
জয়ের পর প্রতিক্রিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম বলেন, যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি, যেন স্বাধীন দেশের মানুষ গনতন্ত্র ও ভোটাধিকার পায়। ভোটের আগেও আমি প্রশাসনের কাছে সেটাই চেয়েছিলাম। এ নির্বাচনের মধ্যদিয়ে প্রমাণ হয়েছে, জনগন সঠিক রায় দিলে এবং প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকলে কোন ষড়যন্ত্র ও প্রভাব কাজে লাগে না।
নির্বাচনের আগে গত বুধবার আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী হেলাল উদ্দিনের কর্মী ও সমর্থকরা ৮৭ বছর বয়সী মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলমের উপর হামলা চালায়। এতে তার ডান হাতের কনুইয়ের উপরে ও বাম পায়ে থেতলে যায়। এছাড়াও আরও ৫জন সমর্থক আহত হন।
স্বাধীনতা পর থেকে উল্লাপাড়া উপজেলার বৃহত্তর পূর্নিমাগাতি ইউনিয়নে টানা ৫ বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন উপজেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম।