আফগানিস্তানের বেশ কিছু প্রদেশে পাইন বাদামের উৎপাদন হয় বেশি। এসব এলাকার অনেকের জীবিকাই নির্ভর করে এই ব্যবসার ওপর। এ বছর ফলন বেশি হওয়ায় আশায় বুক বাঁধলেও রপ্তানি জটিলতায় চ্যালেঞ্জের মুখে ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকরা।
বৈদেশিক বাণিজ্য বাড়াতে পাইন বাদাম চাষে জোর দিয়েছেন আফগানিস্তানের কিছু অঞ্চলের মানুষ। করোনা ও দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে অনেকদিন ধরেই লাভের মুখ দেখেননি ব্যবসায়ীরা।
এখানকার স্থানীয়রা পাহাড়ি অঞ্চল উরগুন থেকে পাইন বাদাম সংগ্রহ করে থাকে। মানুষের নিজস্ব জমি না থাকায় পাইন বাদামের ওপর তাদের নির্ভর করতে হয়।
পাইন বাদাম সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাতে জড়িত রয়েছে অনেক আফগান পরিবার। অনেকের আয়ের অন্যতম উৎসও এটি। উৎপাদন থেকে শুরু করে বিক্রি পর্যন্ত কয়েকটি ধাপ পার করতে হয় পাইন চাষী ও ব্যবসায়ীদের।
পাইন চাষীরা মনে করেন, চীনের সঙ্গে পাইনের ব্যবসা করতে পারলে অন্তত ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
পাইন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হওয়ায় বাজারে এর চাহিদাও রয়েছে বেশ।
পাইন ব্যবসায়ীরা জানান, পাইন বাদামের দাম আগের চেয়ে কমেছে। আগে এক কেজির দাম ছিল আটাশশো থেকে তিন হাজার পর্যন্ত। অন্য দেশে রপ্তানি করা কঠিন হওয়ায় এখন ১৭শ/১৮শ এর মধ্যেই বাদাম কিনতে পারছেন তারা।
সবচেয়ে ভাল পাইন বাদামের বাজার বসে রাজধানী কাবুলে। পাইন পরিষ্কার,বাছাই ও প্যাকেটজাত করার কাজে ব্যস্ত থাকেন ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা।
খোস্ত, পাকতিয়া, কুনার, নানগারহার, নুরিস্তান ও লাগমানসহ পূর্বাঞ্চলের আটটি প্রদেশে পাইন বাদামের উৎপাদন হয়। ভাল ফলন সত্ত্বেও রপ্তানির সুযোগ কম থাকায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকদের।