চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ১ লাখ ৬১ হাজার ১২২ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। সকাল সাড়ে ৯টায় কেন্দ্রে প্রবেশ করেন পরীক্ষার্থীরা প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে ৬০টি ভিজিল্যান্স টিম কাজ করছে। পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দাবি প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ করা গেলে শিক্ষার্থীদের মেধার সঠিক মূল্যায়ন হবে।
স্বাস্ব্যবিধি মেনে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড থেকে এবার ২ লাখ ৭ হাজার ৫৬৮ পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ ও কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্তরা জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা গ্রহণ করা হচ্ছে। কেন্দ্রে হাতধোয়া ও স্যানিটাই করার ব্যবস্থাসহ তাপমাত্রা মাপা এবং বাধ্যতামূলক মাস্ক পড়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করানো হয়েছে। শিক্ষাবোর্ড ভিজিল্যান্স টিম গঠন করেছে ১৭ টি। এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেট ও ট্যাগ অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে।
এদিকে, সিলেটে করোনায় প্রস্তুতি কম থাকলেও পরীক্ষা শুরু হওয়ায় উচ্ছ্বসিত অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, অনেকদিন পর আমরা এমন বড় একটা পরীক্ষায় বসছি। একটু ভয় লাগলেও আমরা খুশি।
পরীক্ষা শুরুর আগে মডেল টেস্ট দিতে না পারায় ভালো ফলাফল নিয়ে শঙ্কিত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা নেয়ার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, সরকার এবং জাতীয় পরামর্শক কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে করোনা নিয়ন্ত্রণে আমরা সব ধরনের ব্যবস্থাই গ্রহন করেছি।
শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্নের প্রস্তুতির কথা জানান খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান তালুকদার। তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ি সকল ব্যবস্থাই নিয়েছি। খুব সুন্দর পরিবেশেই পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছে। শতভাগ পরীক্ষার্থীই উপস্থিত আছে।
যশোরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণরোধে স্বাস্থ্য বিধি মানতে প্রতি আসনে এক জন করে পরীক্ষার্থী বসানো হয়েছে। সেই সাথে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক। কেন্দ্রে প্রবেশের আগে পরীক্ষা করা হয়েছে শরীরের তাপমাত্রা ও দেয়া হয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। এ বছর যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২৯১টি কেন্দ্রে ১ লাখ ৮১ হাজার ৪৩০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে। যাদের মধ্যে ছাত্র ৯২ হাজার ৪৪২ জন ও ছাত্রী ৮৮ হাজার ৯৮৮ জন।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র জানান, এবছর শর্ট সিলেবাসের ভিত্তিতে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ভিজিলেন্স টিম পরীক্ষা মনিটরিং করছে।
পরীক্ষাকেন্দ্রের সার্বিক নিরাপত্তায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত আছেন। করোনার কারণে এবার সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে দেড় ঘণ্টা করে দুই শিফটে পরীক্ষা হচ্ছে।