অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, অন্যদেশে অনুমতি দেয়ার কারণে আমাদের এখানেও অনুমতি দেয়া হয়েছে। এই অনুমতির জন্য তারা আরও একটু দেরি করতে পারত। ব্যবসায়ীদের লাভের চেয়ে জনগণের উপকার হতো। সেভাবে কিন্তু এটা করা হয়নি। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, এটাতে তাড়াহুড়ো করা হয়েছে।
এদিকে, করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে মুখে খাওয়া ওষুধের খবর দেখে উচ্ছ্বসিত ওষুধ বিক্রেতা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। চিকিৎসকরা বলছেন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি ভাইরাসের বংশবৃদ্ধি রোধ করতেও কাজ করবে এই ওষুধ।
সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, উপসর্গ দেখা দেয়ার পরপরই যদি আমরা ওষুধগুলো ব্যবহার করি, তাহলে আশা করা যায় হাসপাতালে মানুষের ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৫০ শতাংশ কমে যাবে এবং করোনায় আক্রান্তদের মৃত্যুঝুঁকি কমাবে।
ইউরোপের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের জিনগত পার্থক্য রয়েছে। এই দিকটি বিবেচনা করে চিকিৎসকরা বলছেন ওষুধটি অনুমোদনে তাড়াহুড়ো করা হয়েছে। এছাড়াও, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া মলনুপিরাভির বিক্রি ও ব্যবহারে সবাইকে সর্তক থাকার তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে, করোনায় সংক্রমিতদের চিকিৎসায় যুক্তরাজ্যে অনুমোদন পাওয়া অ্যান্টিভাইরাল ট্যাবলেট মলনুপিরভির ব্যবহারের অনুমতি দেয় বাংলাদেশের ওষুধ প্রশাসন।