প্রথমবারের মতো গুচ্ছভুক্ত ২০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ভর্তি পরীক্ষা হয়েছে তাতে শিক্ষার্থীদের অনেকাংশে লাঘব হয়েছে খরচ আর কষ্ট। এবার ভর্তির পালা। ঘুরে-ফিরে সেই আগের মতোই অর্থাৎ গুচ্ছভুক্ত প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদা করেই যোগ্যতা অনুযায়ী ফরম নিতে ও ভর্তি হতে হবে।
ভর্তিচ্ছু এক শিক্ষার্থী বলেন, এভাবে ভর্তি হতে হলে তো আমরা গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার সেই সুবিধাটা পেলাম না। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতি মানা হলে এই সমস্যা হতো না। সরকার এই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে বলে আশা করছি।
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এই চ্যালেঞ্জটি খুব ভালোমতো মোকাবেলা করতে পেরেছি। এর বাইরের কার্যকলাপ নিয়ে কথা বলতে গেলে সমস্যা হবে। আমাদের কাজ ছিল এক জায়গায় পরীক্ষা নেয়া। বাকি কাজগুলো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ করবে।’
তবে, শিক্ষার্থীদের চাওয়া, পরীক্ষা ও ভর্তির ব্যবস্থা একবারে হলে সব দিক থেকেই ভালো হতো।
এদিকে, উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নে এ পর্যন্ত ১ হাজারেরও বেশি আবেদন জমা পড়েছে। এ জন্য দিতে হচ্ছে ২ হাজার টাকা। এ বিষয়ে অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার জন্য এসব করতে হয়। উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের পর ফলাফল পরিবর্তন হলে টাকা ফেরত দিয়ে দেয়া হবে।’
এবার ৩ লাখ ৬১ হাজার ৪শ ৬ জন শিক্ষার্থী আবেদন করে। ২০টির মধ্যে পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক এমন কাছাকাছি এলাকার ৫টি বিশ্ববিদ্যালয় পছন্দের সুযোগ দেয়া হয় শিক্ষার্থীদের। আর পরীক্ষার আবেদন প্রথমে ফি না থাকলেও পরে ১২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।