পোল্যান্ডে প্রবেশের চেষ্টায় বেলারুশ সীমান্তে জড়ো হয়েছে সহস্রাধিক অভিবাসনপ্রত্যাশী। এশিয়া, আফ্রিকাসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশের কয়েক হাজার শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছেন সীমান্তের দুর্গম অঞ্চলে। তীব্র শীত ও খাবার সংকটে কয়েকজনের মৃত্যু হলেও কাউকেই প্রবেশ করতে দিচ্ছে না পোল্যান্ড। অন্যদিকে, বেলারুশের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিষেধাজ্ঞার প্রতিশোধ নিতেই শরর্ণাথীদের ব্যবহার করছে দেশটি।
শূণ্যের নিচে তাপমাত্রা আর মারাত্মক খাদ্য ও চিকিৎসা সংকটের মধ্যেই বেলারুশ-পোল্যান্ড সীমান্তের বনাঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছেন কয়েক হাজার অভিবাসন প্রত্যাশী।
এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে আসা এসব মানুষ উন্নত জীবনের আশায় বেলারুশ হয়ে পোল্যান্ডসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছেন।
অভিভাবকরা বলেন, তারা শিশুদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে চান। এখানে খাবার ও পানীয় নেই। তীব্র শীতে শিশুরা জমে যাচ্ছে।
সোমবার কয়েকহাজার অভিবাসন প্রত্যাশীকে আটকে দেয়ার পর পোল্যান্ডের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় তারা। টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করলেও সীমান্তে জরুরি অবস্থা জারি রেখেছে দেশটি।
বেলারুশের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করার পাশাপাশি সীমান্তে আরও ১২ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে পোলিশ সরকার। এদিকে, অভিবাসন প্রত্যাশীদের উসকে দেয়ার জন্য বেলারুশ সরকারকে দায়ী করেছে পোল্যান্ড। একই অভিযোগ লিথুনিয়া ও লাটভিয়ার।
নিষেধাজ্ঞার প্রতিশোধ নিতেই লুকাশেঙ্কু সরকার ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিরুদ্ধে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।