পালশার ড্রাইভার হাসান সরকার (৫০) হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রধান আসামি হাসানের ভাতিজা রুপম সরকারকে (৩৪) ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (০৩ নভেম্বর) দুপুরে রুপম হত্যার দায় স্বীকার করে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ শাহরিয়ার তারিকের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।
পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তবে এ ঘটনার অপর আসামি রুপমের স্ত্রী খুশী বেগম (২৭) এখনো পলাতক। বৃহস্পতিবার (০৪ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপশহর ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আব্দুর রশিদ।
আব্দুর রশিদ জানান, বিবাহিত এক চাচাতো বোনের সঙ্গে রুপম সরকারের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ বাধে। এ নিয়ে এলাকায় সালিস বৈঠকও বসে। কিন্তু সালিস বৈঠকে বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়ায় দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ লেগেই থাকে। এর জের ধরে ১৬ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদরের পালশা এলাকায় হাসান সরকারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায় রুপম। এতে গুরুতর আহত হলে লোকজন তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়।
পরে সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ সেপ্টেম্বর সকাল সোয়া ৯টার দিকে হাসান সরকার মারা যান।
তিনি আরো জানান, ঘটনার পর থেকেই রুপম ঢাকায় আত্মগোপনে ছিলেন।