ধুনট উপজেলায় যমুনা নদীর চরে একাধিক খননযন্ত্র বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন হযরত আলী নামে স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এক নেতা। যমুনা নদীর শহড়াবাড়ি ঘাট এলাকা থেকে ৫দিন ধরে অবাধে বালু তুলে বাণিজ্য করছেন। বালু কারবারি হযরত আলী ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের পুর্ব পাশ দিয়ে বহমান যমুনা নদী। যমুনার বুকে জেগে উঠেছে চর। শুষ্ক মৌসুমে চরগুলোতে প্রায় সব ধরনের চাষাবাদ করা হয়। চরে চাষাবাদ করে সেখানকার মানুষ জীবিকা নির্বাহ করেন। ওই চর থেকে ভলগেট মেশিন ও খননযন্ত্র দিয়ে বালু তুলে তীর রক্ষা বাঁধের ওপর মজুদ করছেন। সেখান থেকে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন এলাকায় বালু বিক্রি করছেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।
স্থানীয় বাসিন্দা জানান, এখন শুষ্ক মৌসুম। তাই যমুনার বুকে চর জেগে ওঠেছে। সেখান থেকে গভীর গর্ত করে বালু তোলা হচ্ছে। শুষ্ক মৌসুম হওয়ায় বালু তোলার বিরুপ কোনো প্রভাব বোঝা যাচ্ছে না। তবে বর্ষা মৌসুমে পানির প্রবল স্রোতে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শহড়াবাড়ি স্পা, ঘাট, বাজারসহ ডান তীর রক্ষা বাঁধ ভেঙে পড়ার শঙ্কা আছে। এ কারণে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি জানান স্থানীয়রা।
হযরত আলী বলেন, ‘বগুড়া জেলা পরিষদ থেকে সহড়াবাড়ি নৌঘাট বার্ষিক ইজারা বন্দোবস্ত নেওয়া হয়েছে। যমুনা নদীর পানি কমে চর জেগে ওঠায় নৌকা চলাচল বিঘ্নিত হওয়ায় লোকসান গুণতে হচ্ছে। এ কারণে চর থেকে বালু তুলে নৌকা চলাচলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগেও ওই চর এলাকায় অভিযান চালিয়ে বালু তোলার দায়ে ১৪ জনকে কারাদণ্ড ও ৪টি ভলগেট মেশিন জব্দ করা হয়েছে। চর থেকে ফের বালু উত্তোলনের বিষয়টি জানা নেই।