গ্রেফতার শাহরুখপুত্র আরিয়ান খান এখন জেল হেফাজতে আছেন। বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও জামিন মেলেনি তার।
বাবা কিং খান ভারতের প্রখ্যাত আইনজীবী সতীশ মানেশিন্ডেকে নিয়োগ দিয়েও ছেলেকে মুক্ত আকাশে আনতে পারেননি।
আপাতত জেলের রুদ্ধদ্বার কক্ষেই দিন কাটবে আরিয়ানের। বর্তমানে মুম্বাইয়ের আর্থার রোড জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাকে।
প্রশ্ন উঠেছে – বাবার বিশাল বিত্ত বৈভব, প্রমোদতরীতে হৈ-হুল্লোর করে বেড়ানো, প্রাসাদ মান্নাতের আয়েস করা যুবক কীভাবে থাকবেন কারাগারের চার দেয়ালের ভেতরে?
স্টার কিড হিসেবে কারাগারে বাড়তি কোনো সুবিধা পাবেন কি আরিয়ান?
কলকাতার গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, তারকা সন্তান বলে কোনো রকম ‘বিশেষ সুবিধা’ পাচ্ছেন না আরিয়ান। আর সব সাধারণ বন্দির মতোই থাকতে হবে ‘কিং খান’পুত্রকে। করোনাবিধি মেনে আর্থার রোড জেলে তিন থেকে পাঁচ দিন নিভৃতবাসে কাটাবেন আরিয়ান। কারাগারে সবার জন্য যা রান্না হয়, তা-ই খাবেন। বাইরের খাবার সেখানে নিষিদ্ধ। আরিয়ানের জন্যেও খাবার নিয়ে যেতে পারবেন না তার পরিবার।
অন্য সব কয়েদিদের মতো প্রতিদিন ঘড়ি ধরে ঠিক ভোর ৬টায় ঘুম থেকে উঠিয়ে দেওয়া হবে আরিয়ানকে। সকাল ৭টায় দেওয়া হবে নাস্তা। বেলা ১১টার মধ্যে দুপুরের খাবার দিয়ে দেওয়া হবে।
দুপুর এবং রাতের খাবারের তালিকায় রয়েছে রুটি, তরকারি, ডাল এবং ভাত। এর বাইরে আর কিছুই দেওয়া হবে না তাকে। সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে আবার রাতের খাবার দিয়ে দেওয়া হবে।
বরাদ্দ খাবার খেতে না চাইলে বা কম পড়ে গেলে জেলের ক্যান্টিন থেকে খাবার আনতে পারবে আরিয়ান। তবে এর জন্য টাকা খরচ করতে হবে। মানি অর্ডারের মাধ্যমে সেই টাকা আনানোর ব্যবস্থা রয়েছে।
একই নিয়ম আরিয়ানেরদুই সঙ্গী আরবাজ শেঠ মার্চেন্ট এবং মুনমুন ধমেচার বেলায়ও।
খাওয়াদাওয়ার পর জেলের ভেতরেই বন্দিরা হাঁটাচলা করতে পারেন। কিন্তু আরিয়ান এবং তার সঙ্গীরা সেটাও করতে পারছেন না। আগামী তিন থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত নিভৃতবাসে থাকার পর জেলের মধ্যে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ঘোরাফেরা করতে পারবেন তারা।
প্রসঙ্গত, গত ২ অক্টোবর গোয়াগামী একটি প্রমোদতরীতে অভিযান চালায় ভারতের নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি)। সেখান থেকে আটক হন আরিয়ান। পরদিন আরিয়ানকে মাদক মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
বৃহস্পতিবার আরিয়ানকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেন আদালত। এই রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই শাহরুখ নিযুক্ত আইনজীবী আরিয়ানের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করেন।