পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফোরিঘাটের দৌলতদিয়া প্রান্তে ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ঘাটের ড্রেজিং কাজ চালু থাকায় এমন যানজটের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। এর ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে দক্ষীণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যাত্রীরা।
বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) সকাল ৯টায় সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ঘাট এলাকার প্রায় ৭ কিলোমিটার অংশ জুড়ে যাত্রীবাহী বাস, কাচা পণবাহী ট্রাক এবং কাভার্ডভ্যানসহ ব্যক্তিগত গাড়ীর জট রয়েছে।
ঝিনাইদহ থেকে আসা বাস যাত্রী পায়েল সরকার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু কাজ থাকায় আজ ঢাকা যাচ্ছি। কিন্তু এই দীর্ঘ যানজটে বসে থাকতে এখন অসহ্য লাগতেছে। কখন ফেরিতে উঠতে পারবো,কোনো নিশ্চয়তা নাই।’
পটুয়াখালী থেকে আগত মেহজাবিন অন্যনা বলেন, ‘প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে যানজটে বসে আছি। কখন ফেরিতে উঠতে পারব জানি না। এই গরমের মধ্যে যানজটে বসে থেকে হাঁপিয়ে উঠেছি।’
খুলনা থেকে আগত সোহাগ পরিবহনের ড্রাইভার আব্দুল লতিফ মিয়া বলেন, ‘দীর্ঘজটে বসে থেকে ক্লান্তি চলে আসছে। এর ফলে ঘুম ঘুম চোখে গাড়ি চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে।’
চুয়াডাঙ্গা থেকে আসা আরেক চালক কলিম উদ্দিন বলেন, ‘গতকাল রাতে ঘাট এলাকায় আসলেও ফেরিতে উঠতি পারি নাই। জ্যামে আটকে আছি। আর এখানে হোটেল,বাথরুম না থাকায় আমাদের ভোগান্তি হচ্ছে।’
যশোর থেকে কাচা পণ্য নিয়ে আসা ট্রাকচালক মো. সামসুল হক বলেন, ‘গত রাত ১টার সময় ফেরীঘাটে আসলেও এখনো ফেরিতে উঠতে পারি নাই। ঘাটের ড্রেজিং কাজ চলায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘাটে কিছু হলেই আমাদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এই নৌপথে আরও ফেরি ও ঘাটের সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন।’
ফরিদপুর থেকে আগত আরেক ট্রাকচালক শিমুল বলেন, ‘এই দীর্ঘ জটে আমাদের ভোগান্তির শেষ নাই। এই নৌপথে এমন জট মাঝে মাঝেই দেখা যায়। এখানে ফেরি ও ঘাটের সংখ্যা বাড়াতে হবে।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডাব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. শিহাব উদ্দিন (বাণিজ্য) জানান, ঘাটের ড্রেজিং কাজ চলার কারণে যানবাহন পারাপারে একটু সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবে সেটি নিরসনের জন্য কাজ করা হচ্ছে। এখন ২০টি ফেরির চলাচল করছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস ও কাঁচাপণ্যবাহী ট্রাক পারাপার করা হচ্ছে।