সাতক্ষীরার বল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গৌতম রায় নামের এক ব্যক্তিকে তিনবার টিকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার স্বাস্থ্য সহকারী নাজমুন নাহার তাকে তিনবার টিকা দেন বলে অভিযোগ করেছেন গৌতম রায় নামে এক ভুক্তভোগী। তিনি সদর উপজেলার আমতলা গ্রামের ভজহরী রায়ের ছেলে (৪৯)।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে এসে গৌতম রায় বলেন, ‘গণটিকা দিতে সকালে বল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে যাই। পরে আমাকে পরপর চারবার টিকা দেওয়া হয়। ছোট বোতলে ওষুধ (টিকা) আমার দেহে পুশ করা হবে বলে মনে করেছিলাম। পরে বুঝতে পেরে ভয় পেয়ে যাই।’
সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়েত জানান, গৌতম রায়কে আমি ডেকে পাঠিয়েছিলাম। তার হাতের ওপরের দিকে তিনটা দাগ আমি দেখতে পেয়েছি। টিকার পুরো বোতল শেষ করার জন্যই গৌতম চারটি টিকা নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন। এ ছাড়া টিকাপ্রদানকারী তাকে পরপর টিকা দিচ্ছেন বলে তিনি আপত্তিও করেননি।
সিভিল সার্জন আরো জানান, এ ঘটনায় তদন্ত করে জানা গেছে, তাকে একবারই টিকা দেওয়া হয়েছে। অ্যালার্জিজনিত কারণে তার হাতের ওপরের অংশ ফুলে গেছে বলে তদন্ত করে আমাকে জানিয়েছেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. মো. হুসাইন সাফায়াত জানান, ৭৮টি ইউনিয়ন পরিষদ ও সাতক্ষীরা পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে এক লাখ ২১ হাজার করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি ইউনিয়নে ১৫০০ জন ও পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে ৫০০ জনকে প্রথম ডোজের এই টিকা দেওয়া হবে। মঙ্গলবার ও বুধবার এই দুই দিন ক্যাম্পেইন চলবে।