শারদীয়া দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকারের অনুমোদন পাওয়া দুই হাজার ৮০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির প্রথম চালান ৭৮ টন ৮৪০ কেজি মাছ ভারতে গেল। বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে এই মাছ বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে পাঠানো হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। তবে এরপর বাংলাদেশ সরকার একাধিকবার ভারত সরকারকে শুভেচ্ছা উপহার স্বরূপ ইলিশ মাছ দিয়েছে। গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর এক হাজার ৮৭৫ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেয় সরকার।
বেনাপোল স্থলবন্দর মৎস্য কোয়ারেন্টিন পরিদর্শক আসওয়াদুল ইসলাম বলেন, ইলিশ মাছ রপ্তানি নিষিদ্ধ হলেও দুর্গাপূজা উপলক্ষে এবার দুই হাজার ৮০ মেট্রিক টন ইলিশ ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেয় সরকার। এসব ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পেয়েছে বাংলাদেশের ৫২টি প্রতিষ্ঠান। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ৪০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার ইলিশের প্রথম চালান ৭৮ টন ৮৪০ কেজি ভারতে প্রবেশ করেছে। পর্যায়ক্রমে বাকী মাছ রপ্তানি হবে। আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে সব ইলিশ মাছ রপ্তানির নির্দেশনা রয়েছে।
বেনাপোলের সিএন্ডএফ এজেন্ট ‘নিলা এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি রুবাইত বলেন, এবার প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য ১০ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রতি কেজি ৮৫০ টাকা। ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশের কাস্টমস থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ইলিশের এ চালান ছাড় করা হবে।
ইলিশের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হলো খুলনার সাউদার্ন ফুড লিমিটেড, ঢাকার ইউনিয়ন ভেঞ্চার, যশোরের রহমান ইমপেক্স ও পাবনার সেভেনস্টার ফিস প্রসেসিং কোং নামের চারটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান।
পদ্মার ইলিশ পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের কাছে প্রিয় হলেও দেশের চাহিদা বিবেচনায় বিভিন্ন সময় তা রপ্তানি বন্ধ রাখে বাংলাদেশ সরকার। ২০১২ সালের আগে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করা হতো। তবে ইলিশের উৎপাদন কমে যাওয়ায় ২০১২ সালের পর ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় সরকার। গত বছরও দুর্গাপূজা উপলক্ষে এক হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছিল সরকার। এরপর থেকে আবারো বন্ধ থাকে ইলিশ রপ্তানি।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল হাসান জানান, এ বছর ৪০ মেট্রিক টন করে ৫২টি প্রতিষ্ঠানকে দুই হাজার ৮০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রনালয়।
বেনাপোল কাস্টম হাউজের কমিশনার মো. আজিজুর রহমান জানান, ইলিশ রপতানির প্রথম চালান আজ বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে গেছে।