নাঙ্গলকোটের ঢালুয়া হোমনাবাদ আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মীর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের ওপর শিক্ষার্থীরা প্রকাশ্যে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেছে। এ ঘটনায় অধ্যক্ষসহ দুইজন আহত হন।
আহতরা হলেন- অধ্যক্ষ মীর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (৫১) ও যুক্তিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক আনিসুর রহমান (৫০)। অধ্যক্ষ মীর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে সোয়া ১টার দিকে নাঙ্গলকোট-ঢালুয়া-চিওড়া সড়কের শিহর দেওয়ান বাড়িসংলগ্ন নামক স্থানে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত কিছুদিন থেকে হোমনাবাদ আদর্শ কলেজের এইচএসসি শিক্ষার্থীরা বেতন ও ফরম ফিলাপের ফি কমানোর দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন। পরে তাদের দাবির বিষয়ে কলেজের ম্যানেজিং কমিটি জরুরি বৈঠক বসে পরীক্ষার্থীদের এক বছরের বেতন মওকুফ করেন। এরপরও ছাত্ররা খুশি হতে পারিনি।
ওই ঘটনার জের ধরে বুধবার দুপুরে কলেজের কাজ শেষে অধ্যক্ষ মীর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম অন্য একজন শিক্ষকসহ ফেনীর উদ্দেশ্য সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে রওনা হন। তাদের বহনকারী সিএনজি নাঙ্গলকোট-ঢালুয়া-চিওড়া বিশ্বরোড সংযোগ সড়কের শিহর দীঘির কাছে পৌঁছলে কলেজের শিক্ষার্থী আবু মুসার নেতৃত্বে ৮-৯ জন অন্য গতিরোধ করে। পরে হকিস্টিক, লাঠিসোটা দিয়ে অধ্যক্ষকে এলোপাতাড়ি পিঠিয়ে জখম করে।
অপর শিক্ষক দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেও রক্ষা পাননি তাদের কাছ থেকে। ওই শিক্ষককেও পিটিয়ে আহত করে। পরে কলেজের অন্য শিক্ষকরা অধ্যক্ষকে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ মীর জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি প্রতিদিনের মতো কলেজের কাজ শেষ করে ফেনীতে নিজ বাসায় যাওয়ার সময় পথিমধ্যে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের ইন্ধনে কলেজ শিক্ষার্থী মুসার নেতৃত্বে আমার ওপর হামলা চালানো হয়।
অভিযুক্ত উপজেলা ভাইস চেয়্যারম্যান আবু ইউসুফ ভূঁইয়া বলেন, আমার প্রতি অধ্যক্ষের বক্তব্য আক্রোশমূলক। এই বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
হামলার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার লামইয়া সাইফুল বলেন, অধ্যক্ষের ওপর হামলার ঘটনাটি দুঃখজনক। আমি বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবহিত করেছি।