শহীদ জিয়াউর রহমান আইন মহাবিদ্যালয়ে (ল’ কলেজ) জাতীয় শোক দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়নি। এ অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে ব্যাপক ভাংচুর করেছে একদল বিক্ষুব্ধ জনতা। রোববার বেলা ১১টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটিতে হিসেবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার কথা ছিল। কিন্তু বেলা ১১টা পর্যন্ত পতাকা না দেখে সেখানে উপস্থিত জনতা বিক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। একপর্যায়ে কলেজের অফিস কক্ষে ঢুকে ভাংচুরসহ ক্ষতিসাধন করে তারা।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি এমদাদুল হক জানান, শহীদ জিয়াউর রহমান আইন মহাবিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত না করায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধরা ভাংচুর শুরু করে। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল সেখানে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ নিয়ে বিকাল ৫টা পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেননি বলেও জানান ওসি।
এ বিষয়ে কলেজটির অধ্যক্ষ ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এসএম মশিউর রহমান যুগান্তরকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠান বন্ধ। পতাকা উড়ানোর দায়িত্ব ছিল কর্মচারী লিয়াকতের। দড়ি ছিঁড়ে যাওয়ার কারণে যথাসময়ে পতাকা পতাকা উত্তোলন করতে পারেনি ওই কর্মচারী। এতে করে সেখানে উপস্থিত লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ভাংচুরসহ আসবাবপত্র ক্ষতিসাধন করেছে।
তিনি আরও বলেন, কলেজটির সভাপতি জেলা প্রশাসককে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পরে পতাকা উত্তোলন করে অর্ধনমিত রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে কৌশলগত কারণে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের নাম সরাসরি প্রকাশ করেননি অধ্যক্ষ।
১৯৯৩ সালে জেলা শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে অবস্থিত পুরাতন মুনসেফ আদালতের পরিত্যক্ত একটি ভবনে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই থেকে প্রতিষ্ঠানটি স্থানীয় বিএনপির নেতারা নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন। কলেজটি পরিচালনার জন্য ৭ সদস্যের একটি পরিচালনা পর্ষদ রয়েছে। পদাধিকার বলে জেলা প্রশাসক প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি।
গত কয়েক বছরে নানা দল-মতের অসংখ্য ছাত্রছাত্রী কলেজটি থেকে ল’ ডিগ্রি লাভ করেছেন।