স্কয়ার টয়লেট্রিজের মানব সম্পদ বিভাগের সহকারী মহাব্যবস্থাপক আব্দুল হান্নান অভিযোগ করেন, তার মেয়ে ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতাল মেডিক্যাল কলেজের শেষ বর্ষের ছাত্রী সাবা মারিয়াম অন্তিকা। বুধবার (৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট পাবনা জেনারেল হাসপাতালে মেডিকেল স্টুডেন্ট কোটায় করোনার টিকা নিতে যান। দীর্ঘ সময় লাইনে দাড়িয়ে থাকার পর দায়িত্বপ্রাপ্ত এক নার্স তাকে খালি সিরিঞ্জ দিয়ে শরীরে সুঁই ফুটান। এতে তার শরীরে রক্ত বের হয়। ওই মেডিকেল ছাত্রী ভ্যাকসিন না দিয়ে খালি সিরিঞ্জ ঢুকানোর প্রতিবাদ করলে কর্তব্যরত নার্স ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং পরে তাকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে শহরে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়।
আব্দুল হান্নান বলেন, একজন মেডিক্যাল স্টুডেন্টের বেলায় যদি এ ঘটনা ঘটে। তবে গ্রামের সাধারণ মানুষের কি হবে?
তিনি আরো বলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এটা একটা গভীর ষড়যন্ত্র। প্রয়োজনে এ বিষয়ে আদালতে মামলা করা হবে। তিনি এই ঘটনার সুষ্টু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেন।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. কেএম আবু জাফর বলেন, এ বিষয়ে তাকে কেউ অবহিত করেনি। তবে লিখিত অভিযোগ দিয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতিদিন দু‘জন করে ভ্যাকসিন প্রদানের দায়িত্ব পালন করেন। তাদের চিহিৃত করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে খুব শিগগির তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।