ডামুড্যা উপজেলার ধানকাঠি ইউনিয়নের এক তরুণী (১৮) বিয়ের দাবিতে প্রেমিকার বাড়িতে অনশনে ছিলেন। কিন্তু প্রেমিক সাগর সরদার বিয়ে না করে পালিয়ে যায়। পরে ওই তরুণী অনশন ভেঙে শুক্রবার প্রেমিক সাগর সরদারের (২২) বিরুদ্ধে ডামুড্যা থানায় ধর্ষণ মামলা করছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করেন তিনি।
ওই তরুণী ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার বাহের চর গ্রামের নিজাম সরদারের ছেলে গার্মেন্টস কর্মী সাগর সরদারের (২২) সঙ্গে বছর খানেক আগে ওই তরুণী বন্ধুত্ব হয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। নিয়মিত মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ অব্যাহত থাকে তাদের মধ্যে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই তরুণের বাড়িতে আসেন প্রেমিক সাগর পরে একটি রুমে দুজনকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান তরুণীর বাবা ও এলাকাবাসী।
এরপর এ নিয়ে সালিশ বসে এলাকায়। সালিশে প্রেমিক সাগর জানান, দেড় মাস আগে তাদের বিয়ে হয়েছে। কিন্তু এর কোনো প্রমাণ নেই। এরপর পরদিন বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে ওই তরুণীকে বিয়ে করার শর্তে প্রেমিক সাগরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এর পর থেকে সাগর পলাতক হন এবং মোবাইল ফোন নম্বর বন্ধ করে রাখেন।
তাই বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন ওই তরুণী। কিন্তু তাকে মেনে নিতে আপত্তি জানান প্রেমিকের বাবা-মা ও আত্মীয়-স্বজনরা।
ওই তরুণীর মা বলেন, আমার মেয়ের সঙ্গে সাগরের সম্পর্ক। সাগর বলেছে বুধবার আমার মেয়েকে বিয়ে করবে কিন্তু বিয়ে করেনি। তাই মেয়ে স্ত্রীর মর্যাদা পেতে সাগরের বাড়িতে ওঠে। আমার আর ইজ্জত রইল না। মেয়েকে বিয়ে না করে সাগর পালিয়েছে তাই মেয়ে মামলা করেছে।
এ ব্যাপারে সাগরের মা আয়েশা বেগম বলেন, আমরা এ ব্যাপারে আগে কিছু জানতাম না। এখন শুনছি আমার ছেলে সেদিন পানি খেতে গিয়েছিল ওই মেয়ের বাড়ি। মেয়ের বাবা মার সঙ্গে পারিবারিক কলহ রয়েছে তাই তারা আমার ছেলে এবং ওই মেয়ের ইজ্জত নিয়ে খেলছে। হঠাৎ করে মেয়েটি আমাদের বাড়িতে এসে উঠেছে। এখন শুনি আমার ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।