ডেলটা ধরনের বিস্তার ঠেকাতে সরকারের লকডাউন ঘোষণায় দক্ষিণবঙ্গগামী মানুষের ঢল নেমেছে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে। অনেকটা ঈদযাত্রার মতো দলে দলে রাজধানী ছেড়ে গ্রামে ছুটছে মানুষ। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে কঠোর লকডাউন শুরুর আগেই সবাই পৌঁছাতে যান বাড়ি। মানুষের চাপে তিল ধারণের ঠাঁই নেই ফেরিতে।
রবিবার (২৭ জুন) ভোর থেকে ঘাট এলাকায় হাজার হাজার যাত্রীদের ভিড় দেখা যায়। এত যাত্রীর চাপে শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজারমুখী ফেরিগুলোতে পণ্যবাহী ও জরুরি যানবাহন পারাপারে বেগ পেতে হচ্ছে। পারাপারের অপেক্ষায় শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় আটকা পড়েছে কয়েকশত গাড়ি।
সকাল থেকে দেখা যায়, পুলিশের বসানো চেকপোস্ট উপেক্ষা করে বিভিন্ন পথে ছোট যানবাহনে যাত্রীরা ঘাট এলাকায় উপস্থিত হচ্ছেন। ঘাটে পণ্যবাহী ও ব্যক্তিগত গাড়ির দীর্ঘ সারি। শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজারগামী প্রতিটি ফেরিতে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব। অনেকের মুখে মাস্কও দেখা যায়নি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহমেদ বলেন, ‘নৌরুটে বর্তমানে ১৫টি ফেরি সচল রয়েছে। সকাল থেকে যাত্রীদের কিছুটা ভিড় রয়েছে। লকডাউনের আওতামুক্ত গাড়ি পারাপারের কথা থাকলেও যাত্রীরা ঘাটে আসছেন। যাত্রী নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব আমাদের নয়। ঘাট এলাকায় সাড়ে চারশতাধিক গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় আটকা পড়েছে।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ জাকির হোসেন বলেন, লকডাউনের কথা শুনে ঘাটে মানুষের খুব চাপ বেড়েছে। একইসঙ্গে গাড়ির চাপেও আছে। যাত্রীদের ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য যথাসম্ভব চেষ্টা করা হচ্ছে।
যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকার কঠোর লকডাউন ঘোষণা করতে যাচ্ছে জানার পরই রাজধানীর কর্মস্থল ছেড়ে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করছেন তারা। কারণ কুরবানি ঈদের একমাসও বাকি নেই। পরে যেতে পারবেন কি না সেই আশঙ্কায় আগেভাগেই বাড়িতে স্বজনদের কাছে যেতে চান তারা।
উল্লেখ্য, শনিবার রাতে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয় সোমবার লকডাউন শুরু হলেও বুধবার পর্যন্ত তা কিছুটা শিথিল থাকবে। খোলা থাকবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান।