এবার করোনায় আক্রান্ত ৭ জনের শরীরের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ডেলটার অস্তিত্ব মিলেছে। আক্রান্ত ওই ৭ জনের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার তেলিভিটা ও কালীভিটা গ্রামে।
এ ঘটনায় সদর উপজেলার সাতপাড় ইউনিয়নের তেলিভিটাসহ নতুন করে কালিভিটা গ্রামকে ৭ দিনের কঠোর লকজাউনের আওতায় আনা হয়েছে।
শনিবার (৫ জুন) দুপুরে গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন জানান, তেলিভিটা গ্রামের ২৫২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৫০ জনের করোনা পজেটিভ আসে। এর থেকে ১১ জনের নমুনা জিনম সিকোয়েন্সিং পরীক্ষার জন্য ঢাকার আইইডিসিআর-এ পাঠানো হয়। সেখান থেকে ৭ জনের নমুনায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ডেলটার অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
সিভিল সার্জন আরও জানান, করোনা সংক্রমণরোধ তেলিভিটা গ্রামের ৯ দিনের দিনের লকডাউন শেষে নতুন করে এবং কালিভিটা গ্রামকে ৭ দিনের কঠোর লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে। ফলে এই দুই গ্রাম থেকে কেউ ভিতরে ও বাইরে-আসা যাওয়া করতে পারবে না। এরা সার্বক্ষণিক প্রশাসনের নজরদারিতে থাকবেন এবং আক্রান্তদের দেখভালের জন্য ওই এলাকায় ১০ জন ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত ২৭ মে তেলিভিটা গ্রামে ৭ দিনের লকডাউন দেওয়ার পর ৩ জুন শেষ হলে আরো দুই দিন বৃদ্ধি করা হয়েছিল।
গেলো ২৪ ঘণ্টায় গোপালগঞ্জে নতুন করে ১৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯৪৩ জন। মারা গেছেন ৪০ জন।
জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা জানান, যেহেতু তেলিভিটা ও কালীভিটা গ্রামে ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের অস্তিত্ব মিলেছে। তাই ওই দুই গ্রামে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। যাতে কেউ বাইরে বা ভিতরে প্রবেশ করতে না পারেন তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের যাবতীয় প্রয়োজন প্রশাসন থেকে দেখভাল করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ মে তেলিভিটা গ্রামের বিভাষ কির্ত্তনীয়া করোনা উপসর্গ ঠাণ্ডা, কাশি ও জ্বর নিয়ে মে মারা যান। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিলে স্বাস্থ্য বিভাগকে বিষয়টি জানানো হয়। পরে মৃত ব্যক্তির পরিবার ও লাশ দাফনে সংশ্লিষ্ট ২৫২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়।