গত ১১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে নৌকায় করে সমুদ্রে যাত্রা করে ৯০ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী। তাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। গন্তব্য ছিলো মালয়েশিয়ায়। সমুদ্রে যাত্রা করার চারদিন পরই নৌকার ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। এরপর ভাসতে ভাসতে নৌকাটি গিয়ে পৌঁছে আন্দামান সাগরে। শুক্রবার (৪ জুন) ১০০ দিনেরও বেশি সময় পরে নৌকাটি ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের একটি দ্বীপে গিয়ে থামে।
ফেব্রুয়ারিতেই সমুদ্রে যাত্রা করা ৯০ জনের মধ্যে আটজনের মরদেহ উদ্ধার করে ভারতীয় কোস্টগার্ড। তখনই নৌকাটিকে চিহ্নিত করে মেরামত করে দেয় কোস্টগার্ড।
রোহিঙ্গাদের সেসময় খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিলেও নিজেদের দেশে জায়গা দিতে রাজি হয়নি ভারত। এমনকি, বাংলাদেশও ওই ৮১ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ফিরিয়ে নেবে না বলে জানিয়ে দেয়।
তিন মাস ধরেই আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা ও শরণার্থীদের সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেতে ভারত, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের কাছে বারবার আবেদন করতে থাকে তাদের পরিবার।
২০১৭ সালে মিয়ানমারে সেনা অভিযানের পর লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। বর্তমানে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্যাম্পে বসবাস করছেন।