সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকায় এক মাদরাসাছাত্রকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ওই ছাত্র ডেমরার দারুন নাজাত সিদ্দিকীয়া কামিল মাদরাসার আলিম দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তার বাবা ইসলামী ব্যাংক নারায়ণগঞ্জ শাখার একজন কর্মকর্তা। আজ সোমবার সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকে নিহতের মা মানসিক প্রতিবন্ধী পলাতক থাকায় সন্দেহের তীর তার দিকেই।
নিহতের বাবা ছগির আহমেদ জানান, গতকাল রবিবার সকালে তিনি ব্যাংকে তার কর্মস্থলে যান। রাত ৮টায় বাসায় ফিরে ঘরের তালাবদ্ধ দেখতে পান। পরে তার কাছে থাকা দ্বিতীয় চাবি দিয়ে তালা খুলে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় তার ছেলে আর্তনাদ করছে। তার বুকে পেটে মাথায় ধারালো কিছুর আঘাতের চিহ্ন। এসময় স্ত্রী নাছরিন বেগম (৪০) কে বাসায় পাননি তিনি। দ্রুত ছেলেকে প্রথমে সিদ্ধিরগঞ্জে সাইনবোর্ড প্রো-অ্যাকটিভ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার বেগতিক দেকে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে আজ সোমবার সকালে নাবিল মারা যায়। তার সঙ্গে কারো কোনো শত্রুতা নেই।
ছগির আহমেদের স্ত্রী মানসিক ভারসাম্যহীন। মাঝে মাঝে তার স্মৃতিশক্তি লোপ পায়। ধারণা করা হচ্ছে তার স্ত্রী ছেলেকে খুন করে কোথাও চলে গেছে। ছগির আহমেদ এর গ্রামের সোনারগাঁ উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের খৈতারগাঁও এলাকায়। সিদ্ধিরগঞ্জে পাইনাদী নতুন মহল্লায় বাড়ি কিনে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করছেন।