ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন ২০২১ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আইন লঙ্ঘনে সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা জরিমানা বা সর্বোচ্চ ৭ বছরের জেল অথবা দুটোর বিধান রাখা হয়েছে।
আজ সোমবার (৩১ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে দুপুরে সচিবালয়ে এ বিষয়ে ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশে কার্যক্রম চালানো আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বার্থে আগের আইনের পরিবর্তন করা হয়েছে। নন ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দৌরাত্ম্য রোধও একটা কারণ। ঋণখেলাপীদের ক্ষেত্রে বিশেষ খেয়াল রাখতে নির্দেশনা রয়েছে এই আইনে। যেসব প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত হতো, তারা এখন কোম্পানি হিসেবে বিবেচিত হবে। কোন কোম্পানি দেউলিয়া হলে আদালতের বাইরে ফয়সালা করা যায় কিনা, তা নিয়েও বিবেচনা করার জন্য মন্ত্রিসভা পর্যবেক্ষণ দিয়েছে।
লকডাউনের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কোনো জায়গা ঝুঁকিপূর্ণ হলে আগে থেকেই নির্দেশনা রয়েছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। তবে উত্তরবঙ্গে আমের মৌসুম এটিও বিবেচ্য।
এছাড়াও বিরোধীদলীয় নেতা এবং উপনেতা, পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার আইন ২০২১ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২১ খসড়ার নীতিগত অনুমোদন ও জাতীয় আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কৌশল বাংলা ও ইংরেজি সংস্করণের খসড়া অনুমোদনও দেয় মন্ত্রিসভা।