দেখে মনে হবে যেন কোনো ডোবা বা জলাশয়। এটা যে উপজেলার প্রধান সড়ক দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই। বৃষ্টির পানি জমে জমে পিচ উঠে গেছে। খোয়া-পাথর সরে সড়কের মাঝখানে গর্ত হয়ে পানি জমে গেছে। কোথাও হাঁটু পানি, আবার কোথাও বেশি। যান চলাচল করলে দূর থেকে দেখে মনে হয় যেন পানির ভেতর দিয়ে ছুটে চলছে যানবাহন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন পথচারীরা। মাঝে মাঝেই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে যাত্রী সাধারণ। অটোবাইক চলাচল করতে গিয়ে মাঝে মাঝে গর্তে পড়ে উল্টে যায়। এতে নারী-শিশুরা আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছেন।
স্থানীয় পথচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই উপজেলার একটি মাত্র সড়কের বেহাল দশা দেখার কেউ নেই। দুই বছর পার হয়ে গেলে কোনো সংস্কার করা হয়নি। সারা দেশে উন্নয়নের জোয়ার দেখা গেলেও দেওয়ানগঞ্জের দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন চোখে পড়ে না।
দেওয়ানগঞ্জ সানন্দবাড়ী সড়কের বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের সর্দারপাড়া পোয়েন্টের চিত্র ১ কিলোমিটার রাস্তায় এই রকম ৭টি মারাত্মক খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। গত বছর বর্ষা মৌসুমে একই সমস্যা দেখা দিয়েছিল। এক বছর অতিবাহিত হলেও সমাধানের কোনো লক্ষণ নেই। একই সড়কে ঝালোর চর হাটের দক্ষিণ দিকে বটতলা মোড়ে দুই বছরের ভোগান্তির শেষে কয়েক সপ্তাহ আগে ইট দিয়ে হেরিংবন করে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাহেদ হোসেন জানান, গত বছর আমরা এই সর্দারপাড়া এবং খুটারচরসহ ১০ কিলোমিটার খানাখন্দ মেরামতের জন্য প্রাক্কলন ব্যায় বাজেট আকারে পাঠিয়ে দিয়েছি। কিন্তু কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া রাস্তা টেকসই করাসহ সড়কের দুই পাশে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রস্তাবনা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর সড়কের দুই পাশের নদী শাসন করা ছাড়া এই সড়কটিকে ডাবল লেনে উন্নীত করা সম্ভব হবে না বলে মনে হয়।
উপজেলা চেয়ারম্যান সোলায়মান হোসেন সোলায় কালের কণ্ঠকে জানান, উপজেলার এই একটিমাত্র সড়ক দিয়ে দেওয়ানগঞ্জসহ রৌমারী রাজিবপুরের হাজার হাজার লোক চলাচল করেন। সড়কের বিভিন্ন অংশে খানাখন্দ ভাঙাচোরা থাকায় নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অনেক বেশি সময় লেগে যায়। সড়কের দুই পাশেই নদী একপাশে যমুনা অপরপাশে ব্রহ্মপুত্র এই সড়কটি ডাবল লেনে উন্নীত করা একান্ত প্রয়োজন।