ওয়ালটনের রেফ্রিজারেটর নিয়ে বাঁশের সাঁকো পেরিয়ে গ্রাহকের বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন সোহাগ খান নামে এক ভ্যান চালক। এমন একটি দৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে পোস্ট করেন কাওসার নাইম তালুকদার নামে এক ওয়ালটন কর্মী।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর তা নজরে আসে বাংলাদেশের অন্যতম গ্রুপ অব কোম্পানি ওয়ালটন কর্তৃপক্ষের। গ্রাহক সেবায় এমন অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় ভ্যানচালক সোহাগ খানকে কোম্পানির পক্ষ থেকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
শুক্রবার (২১মে) সকালে ময়মনসিংহ শহরের স্টেশন রোড ওয়ালটন প্লাজায় ভ্যান চালক সোহাগের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ওয়ালটন প্লাজার ডেপুটি সিইও আবুল কালাম আজাদ, ফাস্ট সিনিয়র অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর ও ডিভিশনাল হেড প্লাজা সেলস ও ডেভেলপমেন্ট ওয়াহিদুজ্জামান তানভীর, ডেপুটি অপারেটিভ ডিরেক্টর ও ডিভিশনাল হেড পিআইডি-৩ মো. আরিফুল ইসলাম।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন— ওয়ালটনের ময়মনসিংহ এরিয়া ম্যানেজার সুমন বসাক, নগরীর তিনটি ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজারসহ আরও অনেকে।
স্টেশন রোড ওয়ালটন প্লাজা ম্যানেজার শাহানাজ পারভিন জানান, গত ১৯ মে সদর উপজেলার ভাটি বারারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওয়ালটন কিস্তি মেলা অনুষ্ঠিত হয়। ওই মেলা থেকে এক গ্রাহক একটি রেফ্রিজারেটর কেনেন। ফ্রিজটি গ্রাহকের বাড়ি পৌঁছে দেন ভ্যান চালক সোহাগ খান।
তবে ঐ গ্রাহকের বাড়ি যেতে গেলে একটি খালের ওপর বাঁশের সাঁকো পার হতে হয়। সোহাগ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাঁধে ফ্রিজ বহন করে সেই কঠিন কাজটি করেছেন। গ্রাহক সেবার এমন দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করে সবার মন জয় করে নিয়েছেন তিনি।
এদিকে পুরস্কার পেয়ে খুবই আনন্দিত সোহাগ খান। তিনি বলেন, ‘আমরা শ্রমিক। সব কাজই আমাদের করতে হয়। ফ্রিজ কাঁধে নিয়ে সাঁকো পার হয়ে গ্রাহকের বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আমি একশ’ টাকা মজুরি পেয়েছিলাম। ওই গ্রাহকের কাছে আরও পঞ্চাশ টাকা চেয়েছিলাম কিন্তু তিনি দিতে অপারগতা জানান। তখন কিছুটা মন খারাপ হয়েছিল। তবে এই কাজের জন্য কোম্পানির তরফ থেকে পুরস্কার পাব তা কখনও ভাবিনি। শ্রমিকদের কেউ মূল্যায়ন করতে চায় না। ওয়ালটন করেছে। আমি খুব খুশি।