আমতলীতে জমিজমা নিয়ে বিরোধে মারামারি ও ছিনতাইয়ের ঘটনার বিচার চেয়ে কোর্টে মামলা করাকে কেন্দ্র করে মামলার বাদী ও আসামির মধ্যে মারামারির ঘটনায় উভয় পক্ষের তিনজন আহত হয়।
সূত্র জানায়, উপজেলার গোলবুনিয়া গ্রামের মো. সিদ্দিক হাওলাদারের সঙ্গে একই গ্রামের মোকলেচ বিশ্বাস গংদের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে ১৭ মে উভয় গ্রুপ মারামারিতে লিপ্ত হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার (২০ মে) সিদ্দিক হাওলাদার বাদী হয়ে মোকলেচ বিশ্বাস, দেলেয়ার বিশ্বাস, আনোয়ার বিশ্বাস সাইফুল বিশ্বাসসহ ৯ জনকে আসামি করে আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার আদেশ প্রদান করেন।
মামলা দায়ের করে সিদ্দিক হাওলাদার ও তার বাবা নয়া হাওলাদার আদালত থেকে বের হয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথে পথিমধ্যে উপজেলা পরিষদ গেটে পৌঁছালে ওই মামলার আসামি মোকলেচ বিশ্বাসের সঙ্গে দেখা হলে বাদী ও আসামির মধ্যে কথাকাটাটির একপর্যায়ে মারামারি হয়। মারামারিতে মামলার বাদী সিদ্দিক হাওলাদার তার বাবা নয়া মিয়া হাওলাদার ও আসামি মোকলেচ বিশ্বাস আহত হয়।
মারামারি দেখে স্থানীয়রা আমতলী থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে উভয় গ্রুপের আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করান।
মামলার বাদী সিদ্দিক হাওলাদার বলেন, কোর্টে মামলা করে বাড়ি যাওয়ার পথে মামলার আসামি মোকলেচ বিশ্বাস তাদেরকে লোকজন নিয়ে মারধর করেছেন। এতে আমি ও আমার বাবা আহত হয়েছি।
এ বিষয়ে আসামি মোকলেচ বিশ্বাস বলেন, সিদ্দিক হাওলাদারের সঙ্গে আমাদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ আছে এ ঘটনায় একাধিক সালিস বৈঠক হয়েছে তারা সালিস বৈঠকের কোনো সিদ্ধান্ত মানে না। বৃহস্পতিবার দুপুরে আমতলী উপজেলা পরিষদ গেট সলগ্ন এলাকায় বাদী সিদ্দিক হাওলাদার ও তার বাবা নয়া মিয়া হাওলাদার আমাকে দেখে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন। আমি তার প্রতিবাদ করলে সিদ্দিক হাওলাদার ও তার বাবা নয়া মিয়া হাওলাদার আমাকে মারধর করে এতে আমার একটি দাঁত ভেঙে গেছে।
তিনি আরো বলেন, ১৭ মে সকালে সিদ্দিক হাওলাদার জোর করে জমি দখল করতে যায়। তখন আমরা জমি দখলে বাধা দিলে সিদ্দিক হাওলাদার ও তার সঙ্গে থাকা লোকজন আমাদেরকে মারধর করেন। এ ঘটনায় আমার বড় ভাই দেলোয়ার বিশ্বাস বাদী হয়ে সিদ্দিকুর রহমান, ফারুক হাওলাদার, নয়া হাওলাদার, বাশার হাওলাদারকে আসামি করে আমতলী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছি। যা তদন্তাধীন অবস্থায় রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) রনজিৎ কুমার সরকার বলেন, বাদী ও আসামির মধ্যে মারামারির ঘটনা শুনে থানা থেকে পুলিশ পাঠিয়ে তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। এ বিষয়ে কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ দেয়নি।