বৃহস্পতিবার (২০ মে) মন্ত্রীর বাসভবনে গিয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি এবং সচিবালয় রিপোর্টার্স ফোরামের পক্ষ থেকে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি সংবলিত স্মারকলিপি দেয়া হয় মন্ত্রীকে।
এসময় বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, দুই সংগঠনের মূল বক্তব্য বা দাবি হচ্ছে এখানে যেন একটা নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি হয়। আমি বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচন করবো। আমরা প্রতিনিয়ত ভুল করি, সুতরাং একজন রোজিনা ইসলামও ভুল করতে পারে, কেউই ভুলের ঊর্ধ্বে না। এগুলো মাথায় রাখতে হবে।
তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম যেন ন্যায়বিচার পান এবং কারা হেফাজতে যথাযথ সম্মান পান সেটি করার জন্য আমি প্রথম থেকেই চেষ্টা করে আসছি। এবং সেটার জন্য আমার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
এদিকে, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ নথির ছবি তোলা ও নিজের কাছে রাখার অভিযোগে অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনে দায়ের করা মামলায় দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের জামিনের বিষয়ে ভার্চুয়াল শুনানি আজ। বৃহস্পতিবার (২০ মে) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লার ভার্চুয়াল আদালতে এই জামিন শুনানি হবে।
এর আগে, বুধবার (১৯ মে) রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহবাগ থানায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়ের করা মামলা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়।
গেল মঙ্গলবার (১৮ মে) প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। তবে, আদালত অধিকতর শুনানির জন্য ২০ মে দিন ধার্য করে রিমান্ড নামঞ্জুর করে রোজিনা ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। তারপর থেকেই কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন রোজিনা ইসলাম।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ নথির ছবি তোলা ও নথি নিজের কাছে রাখার অভিযোগে গত সোমবার (১৭ মে) রাজধানীর শাহবাগ থানায় প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপ-সচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩৭৯ ও ৪১১ ধারায় ও অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের ৩ ও ৫ ধারা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অভিযোগ এনে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।