বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ৩৯ বছরের রাজনৈতিক জীবনে সামরিক সরকার এরশাদের আমলে দু-বার এবং সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় একবার কারাভোগ করেন। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়ের করা দুর্নীতির দুই মামলায় দন্ডিত হয়ে আরো প্রায় দুবছর কারাভোগ করেন। সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তযুক্ত মুক্তি মিললেও ৭৬ বছর বয়সি অসুস্থ্য খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে মামলা দুটির দণ্ড।
সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার চারটি দুর্নীতি মামলা করে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে। সে সময় কারাভোগও করেন তিনি। সেই চার মামলার একটি জিয়া অরফানেজ স্ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালত তাকে ৫ বছরের দণ্ড দেয়। এই রায়ের পর তাকে কারাগারে যেতে হয়।
এরপর হাইকোর্ট থেকে খালেদা জিয়া জামিন পেলেও আটকে যায় আপিল বিভাগে। একই বছর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৭ বছরের জন্য দণ্ডিত হন খালেদা জিয়া।
এরইমধ্যে জিয়া অরফানেজ স্ট্রাস্ট মামলার আপিলের রায়ে খালেদা জিয়ার দণ্ড পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করে দেয় হাইকোর্ট। ২৫ মাস কারাভোগের পর পরিবারের আবেদনে বিদেশে না যাওয়া এবং রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অংশ না নেয়ার শর্তে তার সাজা স্থগিত করে সরকার।
তারপর থেকে এক বছরের বেশী সময় গুলশানের বাসভবনেই আছেন খালেদা জিয়া। সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হলে বিদেশে চিকিৎসার জন্য তার ভাই সরকারের কাছে আবেদন করেন।
আবেদন যাচাই বাছাই করে আইন মন্ত্রণালয় জনায় দন্ডিত কোন ব্যক্তির বিদেশ যাওয়ার সুযোগ আইনে নেই।
তবে আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন আইনের যে ধারায় খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত আছে, সেই ধারায় যদি সরকার শর্ত তুলে নেয় অথবা খালেদা জিয়া যদি সাজা মওকুফের আবেদন করেন সরকার যদি তা মঞ্জুর করে তখনই তার বিদেশ যেতে কোন বাধা থাকবে না।