স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মতামতটি এখন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠাবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসাধীন। তার চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত। সরকারের অনুমতি পেলে পর্যালোচনা করে খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে তাঁর মেডিক্যাল বোর্ড।
দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করার অন্যতম শর্ত ছিল তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না। তবে, করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির পর তার পরিবার থেকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করলে, সহানুভূতির সাথে বিবেচনা করার কথা বলেন স্বরাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রী। এর আগে, বৃহস্পতিবার (৬ মে) করোনা নেগেটিভ হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
গত ২৭ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে করোনা আক্রান্ত খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সিটি স্ক্যানসহ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় তার। গত ১১ এপ্রিল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন ৭৫ বছর বয়সী খালেদা জিয়া।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে কারাগারে যেতে হয়। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে, গত বছরের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে, শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য তার সাজা স্থগিত করে। তারপর থেকে খালেদা জিয়া গুলশানে ভাড়া বাসা ফিরোজায় অবস্থান করছিলেন। এরমধ্যে দুই দফা তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সাজা স্থগিতের অন্যতম শর্ত, দেশেই থাকতে হবে খালেদা জিয়াকে; অংশ নিতে পারবেন না কোন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে।