রবিবার সকালে, এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
রবিবার সকালে রাজধানীর পূর্বাচল প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্ত ১ হাজার ৪শ’ ৪০ জনের মধ্যে প্লট হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে।
অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পূর্বাচল একটি পরিকল্পিত শহর। আমরা শুধু ঢাকা শহরকে কেন্দ্র করে না প্রতিটি বিভাগ এবং জেলায়ও এ ধরনের পরিকল্পিত বাড়ি যেন মানুষ করতে পারে, উন্নত জীবন পায়, প্রত্যেকটা গ্রামের মানুষ যেন সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি, চেষ্টা করে যাবো। বাংলাদেশে একটি মানুষও যেন গৃহহীন না থাকে সেজন্য কাজ করছে সরকার। এছাড়া ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যন্ত মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
নিজ পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে নিজ নিজ কর্মস্থলে সাধারণ মানুষকে ঈদ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি ঈদের সময় মানুষ পাগল হয়ে ছুটছে। কিন্তু এই যে আপনারা একসঙ্গে যাচ্ছেন, এই চলার পথে ফেরিতে হোক, গাড়িতে হোক, যেখানেই হোক, কার যে করোনাভাইরাস আছে, আপনি জানেন না। কিন্তু, আপনি সেটা বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন আপনার পরিবারের কাছে। বাবা-মা, দাদা-দাদি, ভাই-বোন—যে-ই থাকুক, আপনি কিন্তু তাকেও সংক্রমিত করবেন, তার জীবনটাও মৃত্যুর ঝুঁকিতে ফেলে দেবেন।’
তিনি বলেন, একটা ঈদে নিজের ঘরে থাকতে কী ক্ষতিটা হয়? কাজেই ছোটাছুটি না করে যে যেখানে আছেন, সেখানে থাকেন। সেখানেই নিজের মতো করে ঈদটা উদযাপন করেন। আমাদের প্রতিবেশী দেশে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। কাজেই আগে থেকে আমাদের সুরক্ষিত থাকতে হবে। আমাদের সেভাবেই চলতে হবে যেন আমরা সবাই করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত হয়ে বেঁচে থাকতে পারি। নতুন করোনা ভাইরাসটি বিপদজ্জনক তাই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানতেও নির্দেশনা দেন শেখ হাসিনা।