করোনায় আক্রান্ত খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনা কেয়ার ইউনিটে। তবে শারীরিক অবস্থা অনেকটাই স্থিতিশীল বলে জানাচ্ছেন তাঁর চিকিৎসকেরা।
হঠাৎ হাসপাতালে ভর্তি। শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে সিসিইউতে স্থানান্তর। তারপর থেকেই আলোচনায় তাকে বিদেশে নেয়ার বিষয়টি। তবে এখনও সরকারের কাছে এ ব্যাপারে কোনো আবেদন করা হয়নি। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে শুধু।
যে দুই মামলায় সাজা পেয়েছেন খালেদা জিয়া সেটির বাদি দুর্নীতি দমন কমিশন। সংস্থাটির আইনজীবী বলছেন, তার বিদেশ যাওয়া পুরোপুরিই আদালতের ওপর নির্ভর করছে। তবে খালেদা জিয়ার আইনজীবী তা মনে করেন না।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, আদালতের মাধ্যমে কিন্তু খালেদা জিয়া মুক্ত না। সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্ত। বিদেশ যাওয়ার যে শর্ত আছে তা বিলুপ করে উনার জীবন রক্ষার জন্য হলেও সরকার বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা উচিত।
দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, সরকারের সে আদেশ দেয়ার আইনগত অধিকার নেই। সরকার তখন করোনা মহামারির কারণে মানবিক দিক বিবেচনা করে দিয়েছে। বেগম খালেদা জিয়াকে যদি বিদেশ যেতে হয় তাহলে আগে যেই আদালতে উনার মামলা চলছে তার অনুমতি লাগবে।
আইনমন্ত্রীর স্পষ্ট অভিমত, সাজা স্থগিত করেছে সরকার, বিদেশ যাবার অনুমতিও দেবে সরকার।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, যদি তারা আবেদন করেন বিদেশ নেয়ার ব্যাপারে সেটা সরকারকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে তাকে যেসব শর্ত দেয়া হয়েছে তা শিথিল করে বা তুলে নিয়ে এই অনুমতি দেইতে হবে।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে কারাগারে যেতে হয়। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে, গত বছরের ২৫শে মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে, শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য তাঁর সাজা স্থগিত করে। তারপর থেকে খালেদা জিয়া গুলশানে ভাড়া বাসা ফিরোজায় অবস্থান করছিলেন। এরমধ্যে দুই দফা তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সাজা স্থগিতের অন্যতম শর্ত, দেশেই থাকতে হবে খালেদা জিয়াকে; অংশ নিতে পারবেন না কোন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে।