৩০শে এপ্রিল বেবিচক থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে, ওই ৩৮টি দেশ থেকে আসা যাত্রীদের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এসব দেশ ছাড়া অন্যান্য দেশ থেকে আগত যাত্রীদের পিসিআর ‘নেগেটিভ’ সনদ আনা সাপেক্ষে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইন কঠোরভাবে পালনের জন্য বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোহেল কামরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ব্যতিক্রম হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যের ৩টি দেশ, কাতার, বাহরাইন ও কুয়েত থেকে আসা যাত্রীরা বর্তমানে চলমান ৩ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থাপনা অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। তবে পরবর্তীতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে বাকি ১১ দিন হোম কোয়ারেন্টাইন অথবা আইসোলেশনে থাকার জন্য বিবেচিত হবেন।
যে ৩৮ দেশে ফ্লাইট চালুর উপর বিশেষ শর্ত আরোপ করা হয়েছে সেগুলোকে ‘এ’ ও ‘বি’ দুটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। ‘গ্রুপ-এ’ -এর দেশগুলো থেকে কেবলমাত্র বাংলাদেশের নাগরিকরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের বিশেষ অনুমতি নিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন। তবে বাংলাদেশের নাগরিক নন, এমন কেউ এসব দেশ থেকে আসতে পারবেন না। বাংলাদেশের নাগরিকদের দেশে ফিরে তাদের নিজ খরচে সরকার নির্ধারিত হোটেলে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সম্পন্ন করতে হবে।
‘গ্রুপ-এ’তে যে ১২টি দেশ রয়েছে সেগুলো হলো : আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, সাইপ্রাস, জর্জিয়া, ভারত, ইরান, মঙ্গোলিয়া, ওমান, সাউথ আফ্রিকা এবং তিউনিসিয়া।
‘গ্রুপ-বি’তে থাকা ২৬টি দেশ হলো : অস্ট্রিয়া, আজারবাইজান, বাহরাইন, বেলজিয়াম, চিলি, ক্রোয়েশিয়া, এস্তোনিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, হাঙ্গেরি, ইরাক, কুয়েত, ইতালি, লাটভিয়া, লিথুনিয়া, নেদারল্যান্ড, প্যারাগুয়ে, পেরু, কাতার, স্লোভেনিয়া, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, তুরস্ক ও উরুগুয়ে।
এসব দেশ থেকে যে কেউ বাংলাদেশে আসতে পারবেন। তবে ঢাকায় নেমে তাদের নিজ খরচে সরকার নির্ধারিত হোটেলে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সম্পন্ন করতে হবে।
পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।