দেশের হাসপাতালের চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে দৈনিক ৫০ মেট্রিকটন তরল অক্সিজেন আমদানি করা হতো। তবে সংকটের কারণে ভারত এক সপ্তাহ ধরে তরল অক্সিজেন রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে আর এই ঘাটতি পূরণে এগিয়ে এসেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের গ্রুপ।
চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে আবুল খায়ের স্টিল প্ল্যান্ট থেকে অক্সিজেন সরবরাহ করতে নতুন একটি ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে। দেশের বৃহত্তম এই অক্সিজেন প্ল্যান্টে প্রতিদিন ২৬০ টন অক্সিজেন উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। এখন উৎপাদন হচ্ছে ২০ থেকে ২২ টন।
আবুল খায়ের স্টিল লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, আমাদের প্রতিবেশি দেশ থেকে যেহেতু অক্সিজেন আসছে না তখন থেকেই আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি যাতে সংকটময় মুহূর্তে আমরা এগিয়ে আসতে পারি। আমরা আমাদের উওৎপাদন ক্ষমতাও আগের চেয়ে বাড়িয়েছি। এখন আমরা প্রতিদিন ২০ থেকে ২২ টনের মত উৎপাদন করতে পাচ্ছি।
দেশে করোনা সংক্রমণের শুরুর দিকেও আবুল খায়ের স্টিল প্ল্যান্টে উৎপাদিত অক্সিজেন উন্মুক্ত করে দেয়া হয় জনস্বার্থে। এবার দুটি অক্সিজেন কোম্পানির কাছে দৈনিক ২০ টন তরল মেডিক্যাল অক্সিজেন বিক্রি করছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠানটির মানবসম্পদ বিভাগের ম্যানেজার এন্ড ইনচার্জ ইমরুল কাদের ভুঁইয়া বলেন, গত বছর করোনা আঘাত হানার পর থেকে আমাদের প্রতিষ্ঠান বিনামূল্যে অক্সিজেন সরবরাহ করে যাচ্ছে। প্রত্যেক করোনা হাসপাতালে আমাদের অর্থায়নে সিলিন্ডার ক্রয় করে সরবরাহ করা হয়েছে। বর্তমানে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ ব্যাপক হারে বেড়েছে। অন্যদিকে পাশের দেশ ভারত অক্সিজেন রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ায় বাংলাদেশ অক্সিজেন সংকটে পড়তে পারে। এই বিবেচনায় আমরা তরল অক্সিজেন বিভিন্ন সরবরাহকারীকে ও বিভিন্ন করোনা হাসপাতালে সরবরাহ করার উদ্যোগ নিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের এই পরিস্থিতিতে অক্সিজেনের দৈনিক চাহিদা ১০০ থেকে ১৫০ টন। কিন্তু আমাদের দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে ২৬০ টন। আশা করি দেশে অক্সিজেনের কোন সমস্যা হবে না।
দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় অক্সিজেনের সংকট হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।