শুক্রবার প্রকাশিত জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে এমনটাই আশঙ্কা করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে ইউএনডিপি বলেছে, গত বছরের শেষে করোনা মহামারির কারণে মিয়ানমারের ৮৩ শতাংশ পরিবারের আয় প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। এছাড়া দারিদ্র সীমার নিচে বাস করা মানুষের সংখ্যা বেড়েছে ১১ শতাংশ। দেশটিতে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা অব্যাহত থাকলে দারিদ্র্যের হার আগামী বছরে আরো ১২ শতাংশ বেড়ে যেতে পারে। চরম এই সংকটকালে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছে নারী ও শিশুরা। দেশটির অর্ধেক শিশুই এ বছরের মধ্যে দারিদ্র্যের কবলে পড়বে।
এছাড়া বাস্তুচ্যুত মানুষেরাও দারিদ্র্যের প্রবল ঝুঁকিতে রয়েছে। শহরাঞ্চলে দারিদ্র্য বাড়তে পারে তিন গুণ।
করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত মিয়ানমারে গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থান ঘটে। গত নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের ফল প্রত্যাখান করে রক্তপাতহীন অভ্যুত্থান ঘটায় দেশটির সেনাবাহিনী। আটক করা হয় অং সান সু চিসহ বেসামরিক সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের। এরপর থেকে প্রায় তিন মাস ধরে মিয়ানমারে সেনাশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে।