রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৯ অপরাহ্ন

করোনা নিয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার লুকোচুরি

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২১

ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হালিমা খানম করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতাল ও ক্লিনিকে নিয়মিত চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে অন্যান্য সহকর্মী ও সাধারণ রোগীদের ঝুঁকিতে ফেলায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন কর্মচারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নমুনা সংগ্রহ করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার হালিমা খানম কোথাও নমুনা পরীক্ষা করাননি বলে জানিয়েছেন। এ নিয়ে চরম ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।

সূত্র জানায়, ভাঙ্গুড়া পৌরসভার মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল গত ৪ তারিখের ঢাকা থেকে ফেরার পরে করোনাভাইরাসের উপসর্গে আক্রান্ত হন। এ অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার ও সোমবার দুই দফায় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার হালিমা খানমের নিজ কক্ষে মেয়রের নমুনা সংগ্রহ করে স্বাস্থ্যকর্মীরা। এ সময় মাস্ক না পরে মেয়রের পাশেই বসে কথাবার্তা বলছিলেন ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। পরে মেয়রের করোনা শনাক্ত হয়। এতে নমুনা সংগ্রহের সময় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অরক্ষিত অবস্থায় থাকায় অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা ডাক্তার হালিমা খানমকে নমুনা দিয়ে কোয়ারেন্টিনে থাকতে অনুরোধ জানান। কিন্তু হালিমা খানম কারো অনুরোধের তোয়াক্কা না করে নিয়মিত হাসপাতাল ও শহরের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা ও সিজারিয়ান কার্যক্রম চালিয়ে যান। মেয়রের নমুনা সংগ্রহের ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে ডাক্তার হালিমা খানমের এমন দায়িত্বহীনতার সমালোচনা করেন অনেকে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন স্বাস্থ্যকর্মী বলেন, ম্যাডাম এখন অনেকটাই সুস্থ আছেন। তবে তিনি নিয়মিত অফিস করছেন এবং ক্লিনিকে যাতায়াত করছেন। এতে তিনি অফিস প্রধান বলে অন্যরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়লেও কিছু বলা যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে হাসপাতালে ল্যাব টেকনিশিয়ান শরিফুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্যারের (স্বাস্থ্য কর্মকর্তার) নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে কিনা এটা ইপিআই প্রধান আব্দুল করিম সাহেব বলতে পারবেন।

ইপিআই প্রধান আব্দুল করিমকে ফোন করলে তিনি বলেন, গত তিন-চার দিনের করোনা বিষয়ক তথ্য তার কাছে নেই। বিষয়টি অফিসের আরেক কর্মচারী হুমায়ূন কবির জানেন।

হুমায়ুন কবীর বলেন, হাসপাতালে এন্টিজেন টেস্টে ম্যাডামের নেগেটিভ এসেছে। এন্টিজেন টেস্টে নেগেটিভ আসলে নমুনা আবার পিসিআর ল্যাব এ পাঠানোর নিয়ম। কিন্তু ম্যাডাম ল্যাবে নমুনা পাঠাবে না। স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সর্দি-কাশির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন স্বাস্থ্যকর্মীদের এরকম একটু আকটু হয়।

ভাঙ্গুড়া মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক গিয়াস উদ্দিন বলেন, করোনার নমুনা সংগ্রহের সময় একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তার মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লাভস থাকে না। তাহলে কতটা উদাসীন ও দায়িত্বহীন এই কর্মকর্তা।

এইচ বিডি নিউজ টুয়েন্টি ফোর এ আপনাকে স্বাগতম। “সময়ের প্রয়োজনে- HBD NEWS24” নিয়ে আমরা আছি আপনার পাশে। আপনার পাশে ঘটে যাওয়া নানা সংগতি, অসংগতি আর তথ্য নিয়ে আপনিও যোগ দিন HBD NEWS 24 এ আমাদের কাছে মেইল করুন: hbdnews24@yahoo.com

More News Of This Category

© All rights reserved © 2012 HBDNEWS24

POWERED BY MH GROUP OF COMPANY.