কাগজে-কলমে ছাড়া জামায়াতের সঙ্গে আর কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছে বিএনপি।
দলটির নেতারা বলছেন, যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত দলটির সঙ্গে আর পথ চলতে চান না তারা। রাজনীতির মাঠে কারো ওপর ভর করে নয় বরং নিজেদের শক্তি জোরদারের আহ্বান তাদের।
“জামায়াতের সাথে আমাদের যে জোট আছে তার কার্যকারীতা এখন আর নেই। আমরা এককভাবে কাজ করছি। আমরা ভবিৎষতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমাদের সিদ্ধান্ত নেব”- ২০১৯ সালের আগস্টে জোট শরিক জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে এমন মন্তব্য ছিল বিএনপি মহাসচিবের। তৃণমূল থেকে শীর্ষ পর্যন্ত দলে সেই বাস্তবতা এখন আরো জোরালো বলে মত নেতাদের।
বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব) হাফিজউদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম বলেন, “বিএনপির সাথে তাদের যে জোটটি ছিল এটি নির্বাচনী জোট। এটি কোনো আদর্শিক জোট নয়। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মনে করি, এখন আর জামায়াতকে রাখার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।”
আদর্শের ভিন্নতা থাকলেও রাজনীতির নয়া সমীকরণ ১৯৯৯ সালে বিএনপি-জামায়াতকে এক বিন্দুতে আনলেও এখন সেই সম্পর্ক শুধুই আনুষ্ঠানিকতা রক্ষার বলে জানালেন আরেক নেতা।
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “অনেকদিন আমরা একসাথে কোনো অনুষ্ঠান করি না। বিএনপি আর জামায়াত এক নয়। এটা ওদের কথায় বেঁচে আছে। জোট আছে, তবে তা শুধু কাগজে-কলমে।”
এদিকে, লুকোছাপা করে নয় বরং প্রকাশ্যেই জামায়াতের সঙ্গ ছাড়ার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির তৃণমূল নেতারা।
বাগেরহাট জেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির সদস্য কাজী খায়রুজ্জামান শিপন বলনে, “জামায়াতের গায়ে যুদ্ধাপরাধের একটা তকমা লাগানো আছে। আমরা কখনো মনে করি না, এই তকমা আমাদের রাজনৈতিক দলের গায়ে লাগুক। ওদের সাথে যে অ্যালায়েন্স ছিল ওটাতে না গিয়ে আমরা আমাদের শক্তি দিয়ে রাজনীতি করতে চাই।”
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ সভাপতি রাহাদুল ইসলাম ভুঁইয়া বলেন, “আমাদের রাস্তায় অবস্থান করে দেবে আমি জামায়াতকে সে জায়গায় ধরি না। যারা ধরে, যারা সেটা হিসেব করে তারা বোকার রাজ্যে আছে। বিএনপি এতটা দেউলিয়া দল না।”