করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি প্রাইভেট ও কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় সরকার।
কিন্তু তা অমান্য করেই একসঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ জন শিক্ষার্থীকে গাদাগাদি করে বসিয়ে বরগুনার বিভিন্ন কোচিং সেন্টারগুলোতে চলছে পাঠদান।
বরগুনা শহর ও আশপাশে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টারগুলোতে বিকেল ৩টা থেকে শুরু করে রাত ৯টা পর্যন্ত প্রতিটি বিষয়ে পড়ানো হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এজন্য নেয়া হচ্ছে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা করে টিউশন ফি।
শিক্ষার্থীরা বলেন, বাসায় বসে সেরকম পড়া হয়না, পড়াশুনা থেকে অনেক পিছিয়ে পরতে হয়েছে, তাই এখানে আসা।
কোচিং খোলার বিষয়ে জানতে চাইলে নানান অজুহাত দেন শিক্ষকরা। শিক্ষকরা বলেন, ওরা কিছু তথ্য জানে না, সেকারণে ওদেরকে আজকেই সবকিছু বুঝিয়ে ছুটি দিয়ে দেয়া হবে। বাসায় প্রাইভেটের মতো করে পড়ানো হয়, সেকারণে কোন সমস্যা হওয়ার কথা না।
গাদাগাদি করে একইরুমে অনেক শিক্ষার্থীকে নিয়ে কোচিং ও প্রাইভেট পড়ানোর কারণে বাড়ছে করোনা ঝুঁকি।
স্থানীয়রা বলেন, কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানোর পরেও এই কোচিংগুলো চলছেই। যে সকল প্রতিষ্ঠান করোনার মধ্যেও কোচিং চালিয়ে যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি বাড়ানো দরকার।
সরকারি নির্দেশ অমান্য করে কোচিং সেন্টার খোলা রাখলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা এসকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি। তারপরও যদি কোন কোচিং সেন্টার চালু থাকে তাহলে আমরা অতি দ্রুত ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
করোনা সংক্রমণ এড়াতে শিগগিরই কোচিং সেন্টার বন্ধের দাবি অভিভাবকদেরও।