বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ১০ দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণ বাতিল করার দাবির বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে প্রধান মিত্র দেশ ছিল ভারত। তাই বাংলাদেশ ভারতের সরকারপ্রধানকে স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তীতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে, কোনো ব্যক্তি বিশেষকে নয়।
তিনি মঙ্গলবার সকালে তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন বা অন্য কোনো বিষয়ের সঙ্গে যোগসূত্র নেই, তিনি আমন্ত্রিত অতিথি।
তিনি হুশিয়ার করে বলেন, নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর কেন্দ্র করে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে কোনো ধরনের উসকানি দেবেন না।
করোনায় আক্রান্ত এবং প্রাণহানির সংখ্যা নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে, তাই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা জোরদারের কোনো বিকল্প নেই জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, লোকসমাগম, মার্কেট,স্টেশন, ফেরি ইত্যাদি এলাকায় অনেকেই মাস্ক পরিধান করছে না,যে জীবনযাপনের জন্য আমারা ব্যস্ত, মাস্ক পরিধান না করার মতো অবহেলা আমাদের প্রিয় জীবন থেকে ছিটকে দিতে পারে।
ওবায়দুল কাদের নিজের এবং পরিবার পরিজন,সন্তানদের কথা ভেবে হলেও শতভাগ মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে সচেতনতা তৈরিমূলক প্রচার অভিযান চালানোর অনুরোধ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে এখন থেকে আগামী ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত প্রতি শুক্রবার মসজিদ, মন্দির ও প্যাগোডায় দোয়া ও প্রার্থনা করার জন্য দলীয় সভাপতির নির্দেশে আওয়ামী লীগের জেলা,উপজেলা, থানা,ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডসহ সব শাখা এবং সহযোগী সংগঠনসমূহকে জাতীয় কর্মসূচীর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কর্মসূচি পালনের আহবান জানান ওবায়দুল কাদের।
২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।