জানা গেছে, চামেলীবাগের বাড়িটিতে আগা করিম উদ্দিনের পরিবার, তার ভাইয়ের পরিবার, তাদের মা ও চাচাতো ভাই মিলে ১১ জন বসবাস করেন। তাদের বাসা থেকে টিলার দূরত্ব ছিল হাজার ফুটের মতো। ভোরের দিকে ভারী বর্ষণ শুরুর পর এক পর্যায়ে হঠাৎ টিলা ধসে এসে তাদের বাড়িকে মাটিচাপা দেয়।
নিহত করিমের মা ও পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ‘রোজা রাখার জন্য সাহরি খেয়ে তারা ঘুমিয়ে পড়েন। যে কারণে ঘুম গভীর ছিল। টিলা ধসের শব্দ পেয়ে চিৎকার করে সবাইকে ডেকে তোলা গেলেও তাদের ঘুম ভাঙেনি। সেই ঘুমই তাদের চিরনিদ্রা হয়ে গেছে।’
নিহতের আত্মীয় ও চাচা মো. খায়রুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বাসার সবাই ঘুমেই ছিল। কয়েকজন সঙ্গে সঙ্গে দৌড়ে বেরুতে পেরেছে। দুই ভাতিজা ও তাদের পরিবার মিলিয়ে ছয় জন আটকা পড়ে যায়।’
সিলেট সিটি করপোরেশনের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. জাহাঙ্গীর আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘টিলা ধসের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি স্থানীরা উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। পরে সেনাবাহিনীও উদ্ধার কাজে যোগ দেয়।’ ভারী বর্ষণ থেকে টিলা ধসের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে তিনি জানান।
সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘টিলা ধসের ঘটনায় ৬ জন চাপা পড়েন। এর মধ্যে তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও বাকি তিন জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।’