প্রস্তাবিত বাজেটে সব ধরনের আইসক্রিমের ওপর বিদ্যমান সম্পূরক শুল্কহার পাঁচ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ ও কার্বনেটেড বেভারেজ কোমল পানীয়র বিদ্যমান সম্পূরক শুল্কহার ২৫ শতাংশের পরিবর্তে ৩০ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করা হয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সব ধরনের আইসক্রিমের ওপর বিদ্যমান সম্পূরক শুল্কহার পাঁচ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করছি। কার্বনেটেড বেভারেজের ওপর বিদ্যমান সম্পূরক শুল্ক হার ২৫ শতাংশের পরিবর্তে ৩০ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করছি।
তবে আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য করছাড় সুবিধা পেতে পারে বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্র।
এটি স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৩তম বাজেট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা চতুর্থ মেয়াদের এবং অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর প্রথম বাজেট এবং দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট।
প্রস্তাবিত এ বাজেটের প্রতিপাদ্য ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার’। এবারের বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। যা আগের অর্থবছরের (২০২৩-২৪) চেয়ে ৩৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। চলতি অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকা।
বড় অঙ্কের এ বাজেট বাস্তবায়নে সরকারের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। তবে চলতি অর্থবছরে সরকারের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ লাখ কোটি টাকা। আর ব্যয়ের যোগান দিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেয়া হয় ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার টার্গেট, যা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭০ হাজার কোটি টাকা বেশি।
বাজেটে মোট ঘাটতি থাকার আশঙ্কা ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকার। আর চলতি (২০২৩-২৪) অর্থবছরের জন্য সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার যে বাজেট প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তাতে অনুদান ছাড়া সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হয় দুই লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।