মোংলায় এক তরুণীকে ধরে এনে গণধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে মোংলা থানা পুলিশ। বুধবার সকালে মোংলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এদের গ্রেফতার করা হয়।
এদিন সকালে নির্যাতিত ওই তরুণীর বোন বাদী হয়ে মোংলা থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। গ্রেফতার আসামিদের আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের বাঁশতলা গ্রামের মনিরুল ফকিরের ছেলে রুমান ফকির (২৫), ওলি শেখের ছেলে রানা শেখ (২৪), তায়জিদ খানের ছেলে মো. সুমন (২৯), বাশার মোছাল্লীর ছেলে মিজানুর মোছাল্লী (২৮), মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে মো. জামাল (৪৫), মো. লুৎফরের ছেলে মো. আওয়াল (৩৫) ও চিলা ইউনিয়নের হলদিবুনিয়া পঙ্গুর মোড় এলাকার মৃত চানমিয়া শেখের ছেলে রাসেল শেখ (২২)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ১০-১২ দিন আগে গণধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর (২২) সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সুন্দরবন ইউনিয়নের বাঁশতলা গ্রামের রুমান ফকির ও রানা শেখের পরিচয় হয়। একপর্যায়ে গেল সোমবার তারা ওই তরুণীর সঙ্গে মোংলা সরকারি কলেজের সামনে দেখা করেন। পরে ওই তরুণীকে রাত ১০টার দিকে মোটরসাইকেলযোগে সুন্দরবন ইউনিয়নের উত্তর বাঁশতলা গ্রামের একটি মৎস্য ঘেরে ঢুকিয়ে চোখ ও মুখ বেঁধে জোরপূর্বক তাকে একাধিক ব্যক্তি ধর্ষণ করে। ওই তরুণী অচেতন হয়ে পড়লে রাত ৩টায় পার্শ্ববর্তী চাঁদপাই ইউনিয়নের মৌখালী ব্রিজের রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় আসামিরা।
পরে এই পথ দিয়ে যাওয়া হুমায়ুন নামে এক মোটরসাইকেল চালক ওই তরুণীর চোখ ও মুখের বাঁধন খুলে দিলে কিছুক্ষণ পরে সে সুস্থ হয়। পরে ওই তরুণী তার বোনকে ফোন দেয় এবং মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়।
মোংলা থানার ওসি কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, নির্যাতিত ওই তরুণীর বোনের করা মামলায় ৬ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।