মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, ঢাকায় এক হাটের গরু অন্য হাটে নেওয়া যাবে না। কেউ যদি অন্য হাটে গরু নামিয়ে নেয় তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে ছিনতাই মামলা দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপি সদর দফতরের হাট ইজারাদারদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, যদি কেউ এক হাটের গরু অন্য হাটে নেওয়ার চেষ্টা করেন পুলিশ এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। ঢাকার বাইরে থেকে যে গাড়িতে গরু আনবেন ব্যবসায়ীরা তারা গাড়ির সামনে গরুর হাটের নাম লিখে ব্যানার টানাবেন।
তিনি বলেন, ঢাকার ভেতরে গরুর হাটে যারা কাজ করবেন তাদের সমন্বয়টা ভালোভাবে হওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। তাদের মধ্যে যেন সমন্বয় থাকে। ঢাকার ১৯টি হাটের জন্য ১৯টি সমন্বয় সভা করতে হবে। থানার ওসি, ডিসি ও ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা সমন্বয় করবেন।
ঢাকার পুলিশপ্রধান বলেন, কোরবানির হাটকে কেন্দ্র করে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বড় চ্যালেঞ্জ হয় ঢাকাবাসীর জন্য। পশু হাটকে কেন্দ্র করে যেন যানজট সৃষ্টি না হয় সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। ঘরমুখো মানুষ যারা যাতায়াত করবেন তারা যেন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারেন।
তিনি বলেন, হাটে অজ্ঞানপার্টি ও মলমপার্টির ব্যাপারে ডিবির টিম সজাগ থাকবে। হাটে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ থাকবে। মোটা অংকের টাকা লেনদেনে পুলিশের সহায়তা নিতে পারেন ব্যবসায়ীরা।
হাটে বিদ্যুতের বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য হাট ইজারাদারদের পরামর্শ দেন ডিএমপি কমিশনার।