ওই ব্যক্তিকে বৈরী আবহাওয়াতে বসে থাকতে দেখে নিরাপদ স্থানে যেতে বলেন অনুপ।
তারপর ওয়েস্ট বেঙ্গল রেডিও ক্লাবকে (ডাব্লিউবিআরসি) ফোন করেন অনুপ। নাম-পরিচয়হীন মানুষকে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার কাজ করে এই সংস্থা।
ডাব্লিউবিআরসির সচিব অম্বরীশ নাগ বলেন, ‘অনুপের ফোন পেয়ে ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করি; কিন্তু তিনি কথা বলতে চান না। তবে একটু কথা বলে দুটি জিনিস পরিষ্কার হয়। সেটা হলো, তিনি বাংলাদেশের বাসিন্দা এবং মাছের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তারপর বাংলাদেশের রেডিও অপারেটরদের সঙ্গে কথা বলি। ওই ব্যক্তির ঠিকানা খুঁজে বের করতে তাদের বেশি সময় লাগেনি। তারা কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোটের দোলখা গ্রামের একটি পরিবারকে খুঁজে বের করেন। সেই পরিবারের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে এই নিখোঁজ ব্যক্তির বর্ণনা মিলে যায়।’
নাঙ্গলকোট থানার পুলিশের সহযোগিতায় ওই ব্যক্তির পরিবারকে খুঁজে বের করা হয়। এই অজ্ঞাত ব্যক্তি ওই গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে মো. মিলন। প্রায় চার বছর আগে স্ত্রী ফ্যান্সি, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে নিখোঁজ হয়েছিলেন তিনি। তার সন্তানদের বয়স এখন ৯ ও ১৬ বছর। মিলনের সঙ্গে একটি ভিডিও কলের মাধ্যমে তাদের কথা বলিয়ে দেয় ডাব্লিউবিআরসি। সে সময় সবাই আবেগে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
মিলনকে দেশে প্রত্যাবাসন করতে ভারত সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন কাজ করছে। পরিবারের সঙ্গে পুনরায় মিলিত হবেন তিনি।