সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায় হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হকের অনুসারীরা হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িত। ১৫ মার্চ সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে মামুনুল হকের উস্কানিমূলক বক্তব্য তার নেতাকর্মীদের আক্রমণে উদ্বুদ্ধ করেছে। শাল্লার নোয়াগাঁও গ্রামের জুমন দাস নামের এক যুবক মামুনুল হকের বক্তব্যের প্রতিবাদে একটি ফেইসবুক স্ট্যাটাস দেয় বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মামুনুল হকের অনুসারীরা জুমন দাস ও তার পরিবারের ওপর হামলা করে। জুমন দাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তার ফেইসবুক আইডি হ্যাক করে দর্মীয় উস্কানির অপপ্রচার করা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, আমরা মনে করি জাতি যখখ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালণ করছে তখন বিদেশি রাষ্ট্রপধানদের উপস্থিতিতে এ ধরনের হামলার ঘটনা বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক ও প্রতিক্রিয়াশীল রাষ্ট্র হিসেবে দেখানোর অপচেষ্টা, যা রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ। সম্প্রতি জাতির পিতার ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়েছে মামুনুলের উস্কানিতে। এদের কেউ কেউ জাতীয় সংগীতের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার ধৃষ্টতাও দেখিয়েছে। তারা ইসলামের অপব্যবহারের মাধ্যমে দেমে নৈরাজ্য সৃষ্টিতে লিপ্ত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এ হামলার শিকার পরিবারদের ক্ষতিপূরণ দেয়া সহ নিরাপত্তা প্রদান এবং ধর্ম, মানবতাবিরোধী ও রাষ্ট্রবিরোধীদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছে।