সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আইনজীবী ও গণমাধ্যমকর্মীদের উপর পুলিশের হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা প্রকাশ এবং তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানিয়েছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।
তারা বলেন, সামরিক শাসনের সময়ও দেখা যায় নাই যে পুলিশ সুপ্রিম কোর্টের ভেতরে ঢুকে আক্রমণ করেছে।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) গণমাধ্যমে ত এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি, ধাক্কাধাক্কি পরবর্তীতে পুলিশ সাংবাদিক ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের পিটিয়ে মিলনায়তন থেকে বের করে দেয় যা নজিরবিহিন।
নেতৃদ্বয় বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে গণমাধ্যমকর্মীদের উপর হামলা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। সংবাদ সংগ্রহকালে নিরাপরাধ সংবাদকর্মীদের উপর হামলা সভ্য সমাজে মেনে নেওয়া যায় না। গণমাধ্যমের পূর্ণ স্বাধীনতা ছাড়া গণতন্ত্র সমুন্নত রাখা অসম্ভব। তাই, গণতন্ত্রের স্বার্থেই গণমাধ্যমের বিকাশে সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে গণমাধ্যমকর্মীদের সব নিরাপত্তা।
তারা বলেন, সুপ্রিম কোর্টের ঘটনায় প্রমাণিত হয় দেশ রাজনৈতিকভাবে কতটা দেউলিয়া হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হতে চলছে এটা তারই একটি প্রমাণ। বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে রক্ষা করার জন্য ন্যূনতম যে প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে সে প্রতিষ্ঠানগুলো রক্ষা করার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। অন্যথায় এর জন্য সমগ্র জাতিকে মূল্য দিতে হবে।
নেতৃদ্বয় বলেন, আইনজীবী পেশায় যে অর্জনটা ছিল সুপ্রিম কোর্টের ঘটনার মধ্য দিয়ে তা কলঙ্কিত হলো। সাধারণ মানুষের সর্বশেষ ভরসার এটাই একমাত্র জায়গা ছিল, যেটা মানুষকে আশার আলো দেখাত এবং যেখানে গণতান্ত্রিক সহনশীলতা ছিল। বরাবর এখানে নির্বাচনে স্বচ্ছতা ছিল। সেটাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করা হলো। যার মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের বিশ্বাশের জায়গাটা ধ্বংস হয়ে গেল।